উচ্চ শিক্ষায় অবস্থান নিশ্চিত করতে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে

নি জা মু ল হ ক



এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হলো। জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই। কোথায় পড়বে? ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীর নগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ঃ বা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বপ্ন থাকলে বা সিদ্ধান্ত নিলেই চলবে না। এজন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। তীব্র প্রতিযোগীর মাধ্যমে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।

এবার বছর দশটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৩৭টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ২০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে পাসের হার ৭০ শতাংশ হলেও প্রায় ৫ লাখ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ন হবে। এর মধ্যে সব উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীই চাইবে ভাল কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে। আর এ কারণেই হবে তীব্র প্রতিযোগিতা। দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় পরীক্ষায় ভাল ফল থাকলেও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। তাই শিক্ষাঙ্গনে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

দেশে ৩০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাতে গোনা কয়েকটি ভাল কলেজে ভর্তির চাহিদা বেশি। এর বাইরে ৫১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে এগুলোতে ভর্তি হবার ক্ষেত্রে সব কিছু জেনে শুনে ভর্তি হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের আসন সংখ্যা ১,৮৮,০০০। দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫১টি। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বমোট ১,৮২,৬৪১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। আর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছে ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৬৯ জন।

এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করা অধিকাংশ শিক্ষার্থীই চায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিজের জন্য একটি আসন নিশ্চিত করতে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা কম থাকার কারণে প্রায়ই শিক্ষার্থীই ছিটকে পরে। নিজের আসনকে নিশ্চিত করতে শুরু হয় ভর্তি যুদ্ধ। তুমুল এই ভর্তি যুদ্ধে নিজেকে প্রস্তুত করতে সময় পাওয়া যায় মাত্র কয়েক মাস। আর এই স্বল্প সময়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা ও নিয়মিত পড়াশোনা। কঠোর অধ্যাবসায় আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসই হতে পারে একমাত্র হাতিয়ার। নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি নানা কৌশলও রপ্ত করতে হবে। তাই সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা আর সময় ক্ষেপণ নয় কঠোর অধ্যাবসায়, সঠিক দিকনির্দেশনা আর নানা কৌশল নিয়ে এখনই ঝাপিয়ে পড়তে হবে উচ্চশিক্ষায় নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে।

ভর্তির পরামর্শ

সবাই ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না

- অধ্যাপক নজরুল ইসলাম



বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই সুযোগ থাকবে শিক্ষার্থীদের। এ বছর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খুব বেশি আসন বাড়ছে না। তবে নতুন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াতে সেখানে ২০০ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। যারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভর্তি হতে পারবেন।

তিনি বলেন, প্রতি বছরই আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন বাড়ানোর চেষ্টা করি। কারণ বর্তমানে অন্যান্য সময়ের চেয়ে পাসের হার বেশি ও পড়াশোনও বেশি করছে শিক্ষার্থীরা। সবাই চায় সরকারি ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে। তবে সবার সুযোগ করে দেয়া সম্ভব হয় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে শতকরা ১০ ভাগ আসন বাড়ানোর জন্য চিঠি দেই। কিন্তু বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ শতাংশও আসন বাড়ানো সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা বাড়াতে হলে আবাসিক সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষক সংখ্যা, ক্লাস রুমসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়াতে হয়। কিন্তু এসব সুযোগ সুবিধা বাড়ানো কঠিন হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে সজাগ রয়েছে। তবে সীমাবদ্ধতার কারণে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তিনি বলেন, সরকার উচ্চতর শিক্ষার প্রসার করতে চায়। এ জন্যই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে। এসব নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বিভাগ খুলে পড়ানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ প্রণয়ন হচ্ছে। আইনটি সংসদীয় কমিটির কাছ থেকে চূড়ান্ত হয়ে আগামী সংসদে বিল হিসাবে পাস হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আইনটি পাস হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি নিয়মের মধ্যে আসবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবী গরীব শিক্ষার্থীদের জন্য শতকরা ৫ ভাগ বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো ঠিকভাবে মানছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে। স্কলারশীপ দেয়ারও বিধান রয়েছে। এছাড়া নতুন আইনে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে আরো বিধি-বিধান থাকছে।



ইন্টারমিডিয়েটের বিষয়গুলো ভালো করে পড়লেই হবে

- আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ভর্তির প্রশ্নপত্র যেহেতু ইন্টারমিডিয়েটের বিষয়গুলোর আলোকে তৈরি করা হয়, সেহেতু ইন্টারমিডিয়েটের বিষয়গুলো ভালো করে পড়লেই হবে। যেমন- বিজ্ঞান বিভাগ হলে পদার্থ, রসায়ন, জীব এবং গণিত বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে হবে। মানবিকের শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান বেশি করে পড়া উচিত, কারণ সাধারণ জ্ঞানে মার্কস উঠানো সহজ।

বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রচুর হওয়ায় এবং আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞান বিভাগের শেষের বিষয়গুলো থেকে কিছু শিক্ষার্থী মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চলে যায়। তাই আসন সংখ্যার সমান শিক্ষার্থী ধরে রাখতে আসন সংখ্যা একশ হলেও শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে একশত বিশ।

অনেক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে হা-হুতাশ করে; কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও বহু শিক্ষার্থী অনেক ভালো করছে। তাই প্রতিষ্ঠান যাই হোক ভাল করে পড়াশোনা করে যে কেউ ভালো করতে পারে।



অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ

অধ্যক্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ



এই মুহূর্তে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিচ্ছুদের কিভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে এ বিষয় নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, কেমিষ্ট্রি, বায়োলজি এবং ইংলিশ বিষয়গুলোকে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। যেহেতু এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে তাই এ পর্যায়ে ভর্তিচ্ছুদের ইংরেজী বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তাছাড়া ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথমেটিক্স বিষয়ে বেশি করে পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়ে থাকে বলে এই বিষয়গুলোর প্রতিও সমান গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। তবে তিনি এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের সঠিক দিক-নির্দেশনা নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাহলেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় নিজের আসনটি নিশ্চিত করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম

শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বর্তমানের শিক্ষার্থীরা খুবই মেধাবী। শুধু আসন সংখ্যার সীমাবদ্ধতার কারণে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। তবে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। কোচিং সেন্টারের পেছনে পেছনে না ছুটে ইন্টারমিডিয়েটের বিষয়গুলো ভালো করলে পড়লেই হবে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের সতর্ক হওয়া উচিত, কেন না সামান্য পয়েন্টের ব্যবধানে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে জীবন শেষ, এমনটা ভাবার কারণ নেই। ঢাবি ছাড়াও অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ভালো করছে। ভালো পড়াশোনা করলে যে কেউ জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে।



প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন

প্রো-ভিসি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

আমাদের দেশের এসএসসি ও এইচএসসি ল্যাভেলের লেখাপড়া বর্তমানে উন্নত দেশের মতো স্ট্যান্ডার্ড মানে পৌঁছেছে বলে আমি মনে করি। শিক্ষার্থীরা একটু সজাগ হলে আরো ভালো করতে পারে। তারা বিদেশেও উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে নিতে পারে। শুধু ভালো রেজাল্টই যথেষ্ট নয়, ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে বুঝে শুনে পরিকল্পিতভাবে পড়তে হবে। কলেজে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী টিউশনমুখী থাকে। মূল বই না পড়ার কারণে তারা অনেক বিষয়ে অজ্ঞ থাকে। এইচএসসি পরীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পূর্ব পর্যন্ত তারা ৪-৫ মাস সময় পাবে। এ সময়টাতে পুরো বই সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। মূল পাঠ্যবই বারবার পড়া ও লেখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া অধিকংশ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে দুর্বল। ইংরেজি বিষয়ে তাদের বেসিক উন্নতি করার এখনই সময়। এজন্য ইংরেজির জন্য নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ব্যয় করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বিষয় ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়। ইংরেজিতে যাদের দখল থাকে তারা এ পর্যায়ে এসে ভালো করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য কোচিং মুখ্য বিষয় নয়। তবে বাসায় ভর্তি সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। অনুশীলনের পর তা লেখা ও কয়েকদিন অন্তর অন্তর পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করতে হবে।

প্রক্সির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নিলে তারা নিজেদেরকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এরকম অনেক শিক্ষার্থীর মাঝ পথে ঝড়ে পড়ার রেকর্ড আছে। ছাত্রছাত্রীদের সবসময় নিজেদের উপর আন্মবিশ্বাস রেখে লেখাপড়া করতে হ্েব।



ড. এম আব্দুস সোবহান

ভিসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় নিজের জন্য একটি আসন তৈরী করে নেয়ার জন্য ছাত্রদের কে কি ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এমন প্রশ্ন করা হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার জন্য পড়ালেখার কোন বিকল্প নেই। যারা পড়াশোনা করবে তারাই নিজের জন্য একটি আসন নিশ্চিত করতে পারবে। এক্ষেত্রে তাকে হতাশ না হয়ে ধৈর্য ও সাহস নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।



প্রফেসর মুহাম্মদ নূরুল্লাহ

প্রোভিসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ইউনিটভিত্তিক করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ নূরুল্লাহ। তিনি বলেন বিগত দিনে বিষয়ভিত্তিক অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হত। এজন্য ছাত্রদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ছাত্রদের কথা চিন্তা করেই এবারে ভর্তি পরীক্ষা ইউনিট ভিত্তিক করা হতে পারে। এ ব্যাপারে ভর্তি কমিটিতে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভর্তি পরীক্ষা ইউনিট ভিত্তিক করা হবে।



ড. এসএএম খায়রুল বাশার

উপ-উপাচার্য, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ সম্পর্কে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এ এম খায়রুল বাশার বলেন, শিক্ষার্থীদের আগে ঠিক করতে হবে সে কোন বিষয়ে পড়বে, সেই বিষয়ের জন্য তাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কেননা ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করা ব্যতীত এখন ভালো মানের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সম্ভব নয়। তারপর খোঁজ নিতে হবে তার পছন্দনীয় বিষয়টি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। কারণ সব বিষয় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় না। আরেকটু খেয়াল রাখতে হবে যে, সেই বিষয়টি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো পড়ায়। এ বিষয়ে তিনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, এখানকার যে কোনো বিষয়ের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমতুল্য। তাছাড়া প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত ক্যাম্পাসের পরিবেশটাও শিক্ষা উপযোগী। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে ভালো মানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় শিক্ষার্থীরা এখন বিদেশে না গিয়ে দেশেই পছন্দনীয় বিষয়ে পড়াশুনা করছে। এতে দেশ অনেকভাবে উপকৃত হচ্ছে।



ড. এম হাবিবুর রহমান

প্রোভিসি, বুয়েট



প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের আসনটি কিভাবে তৈরী করতে হবে এ বিষয় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রোভিসি ড. এম হাবিবুর রহমান বলেন এইচ.এস.সি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কঠোর পরিশ্রম প্রকৃত সাফল্য এনে দিতে পারে। বুয়েটে ভর্তির জন্য সাধারণত পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও ইংরেজী এ চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব প্রদান করা উচিত। এই বিষয়গুলোর উপরই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। খুব কম ছেলে মেয়েই বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পায়। সুতরাং অপ্রয়োজনে সময় নষ্ট না করে এ সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের উচ্চশিক্ষার চাহিদা ও জনসংখ্যার অনুপাতে স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় এবং সেগুলোতে আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত না হওয়ায় এবং জাতীয় শিক্ষা বাজেটে উচ্চশিক্ষা খাতে বরাদ্দের ঘাটতির কারণে উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছিল না। উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা সুষমভাবে সৃষ্টি করার লক্ষ্যে শ্রীলংকা, পাকিস্তান, ভারত ও জাপানের ন্যায় আমাদের দেশেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সরকারকে পরামর্শ দেয়। সে মোতাবেক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৯২ জারি করে। বাংলাদেশে চালু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে সংখ্যা ৫১টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ১,৮২,৬৪১ জন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সর্বশেষ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সুস্পষ্ট কোন নীতিমালা নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি, টিউশন ফি, শিক্ষকদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে অযৌক্তিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। উপরন্তু ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট, প্রশংসাপত্র ইত্যাদি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ উচ্চহারে ফি নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোন যৌক্তিক কারণ ব্যতিরেকে প্রতিবছরই টিউশন ফি, ভর্তি ফি ও অন্যান্য ফি বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে বিগত বছরগুলোতে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে-যা সকল মহলের উৎকণ্ঠার কারণ হয়েছিল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে সহজলভ্য ও সকল শ্রেণীর জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা লাভের পথ সুগম করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রদেয় বিভিন্ন প্রকার ফি ও চার্জ সহনীয় পর্যায়ে রাখা অত্যাবশ্যক বলে কমিশন মনে করে। তবে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও লেখাপড়ার মান এখনও ভাল পর্যায়ে রয়েছে বলে কমিশন মনে করে। তাই শিক্ষার্থীদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে যাচাই করে অবশ্যই নিতে হবে।



নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠাঃ ১৯৯২ সাল। ১২ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১২১৩। ফোন: ০২ ৯৮৮৫৬১১-২০, ফ্যাক্স: ০২ ৮৮২৩০৩০। ই-মেইল: ৎবমরংঃৎধৎ@হড়ঃযংড়ঁঃয.বফঁ, ওয়েবসাইট: িি.িহড়ৎঃযংড়ঁঃয.বফঁ

দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫ করে পেতে হবে। তারপর ৮০০ টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অফিস থেকে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। কেউ ইচ্ছে করলে ওয়েবসাইট থেকেও ভর্তি ফরম ডাউনলোড করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে ৮০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ ফরম জমা দিতে পারবে। তারপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে গ্রহণযোগ্য নাম্বার পেতে হবে।

খরচঃ ভর্তি ফি ২০ হাজার টাকা। ফেরতযোগ্য জামানত ৫ হাজার টাকা। প্রতি ক্রেডিট-এ টিউশন ফি ৪৫০০টাকা। প্রতি সেমিস্টারে কম্পিউটার ল্যাব ফি ১৫০০ টাকা, শিক্ষার্থী একটিভিটি ফি ২০০০ টাকা এবং লাইব্রেরি ফি ৫০০ টাকা।

উল্লেখযোগ্য যেসব বিষয়ে ভর্তি হওয়া যাবেঃ অর্থনীতি (১২৫ ক্রেডিটস), ইংরেজি (১২৩ ক্রেডিটস), বিবিএ (১২৪ ক্রেডিটস), আর্কিটেকচার (১৭২ ক্রেডিটস), কম্পিউটার সায়েন্স (১২৯ ক্রেডিটস), ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জি: (১২৮ ক্রেডিটস), বায়ো টেকনোলোজি এন্ড বায়ো কেমেস্ট্রি (১২৭ ক্রেডিটস), মাইক্রো বায়োলোজি (১৩৩ ক্রেডিটস), ফার্মেসি (১৫৬ ক্রেডিটস), ইনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট (১২৫ ক্রেডিটস), ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স (১২৫ ক্রেডিটস)। বেলাল আহমেদ আরো জানান যে, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ এবং আংশিক ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।



ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠাঃ ১৯৯৬ সাল। ৪১, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৯ মহাখালী বা/এ, ঢাকা-১২১২। ফোন: ০২ ৯৮৮২৩০৮ ফ্যাক্স: ০২ ৮৮১২৩৩৬ই। ই-মেইল: ৎবমরংঃৎধৎ@বঁিনফ.বফঁ ওয়েবসাইট: িি.িবঁিনফ.বফঁ

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ পেতে হবে। অতঃপর ৬০০ টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

কোন বিষয়ে কত খরচঃ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জি:, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জি:, ইলেকট্রিনিক এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জি:-এ পড়তে চাইলে খরচ পড়বে প্রায় ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। ফার্মেসি ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা। বিবিএ ৪ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। ইংরেজি ৩ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। অর্থনীতি ৪ লক্ষ ৩ হাজার টাকা।



ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠাঃ ২০০১। ৬৬ মহাখালী, ঢাকা-১২১২। ফোন: ০২ ৮৮২৪০৫১, ফ্যাক্স: ০২ ৮৮১০৩৮৩। ই-মেইলঃ রহভড়@নৎধপ.ধপ.নফ, ওয়েবসাইট: িি.িনৎধপ.ধপ.নফ

ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যামিক উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৬.০০ পেতে হবে। তবে আলাদাভাবে প্রতিটিতে কমপক্ষে ২.৫০পেতে হবে। তারপর ৬০০ টাকা দিয়ে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

খরচঃ ভর্তি ফি ১২ হাজার টাকা। প্রতি ক্রেডিট ফি ৪৫০০ টাকা। প্রতি সেমিস্টারে কম্পিউটার ল্যাব ফি ১৫০০ টাকা, শিক্ষার্থী একটিভিটি ফি ৬০০ টাকা এবং লাইব্রেরি ফি ৭৫০ টাকা।

বিষয়সমূহঃ বিবিএ (১৩০ ক্রেডিটস), কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জি: (১৩৬ ক্রেডিটস), ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জি: (১২৪ ক্রেডিটস), ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জি: (১৩৬ ক্রেডিটস), অর্থনীতি (১২০ ক্রেডিটস), ইংরেজি (১২০ ক্রেডিটস), আইন (১৩৫ ক্রেডিটস), পদার্থ (১৩২ ক্রেডিটস), গণিত (১২৭ ক্রেডিটস), ফার্মেসি (১৬৪ ক্রেডিটস), মাইক্রো বায়োলোজি (১৩৬ ক্রেডিটস), বায়ো টেকনোলোজি (১৩৬ ক্রেডিটস)।



ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস

বিষয়সমূহঃ বিবিএ, কমিপউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংলিশ এন্ড হিউম্যানিটিজ, মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজম

সেমিস্টারঃ ফল, স্প্রিং, সামার এই তিন সেমিস্টারে ছাত্র ভর্তি করানো হয়।

ছাত্র ভর্তির শর্তসমূহঃ স্নাতক- মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় সিজিপিএ ২.৫ এবং ২.৫ পয়েন্ট অথবা সম্মিলিতভাবে ৬ পয়েন্ট।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

আধুনিক শিক্ষার লক্ষ্যে নিত্য-নতুন বিষয় চালু করছে। বর্তমানে মোট ১৪টি বিভাগের অধীনে ২৬টি প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। প্রোগ্রামগুলো হলো: ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার, বি.এসসি. ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বি.এসসি. ইন ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বি.এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বি.এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইনফরমেশন, এম.এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার ইন কম্পিউটার এপ্লিকেশন, ব্যাচেলর অব আর্টস ইন ইংলিশ (অনার্স), মাস্টার্স অব আর্টস ইন ইংলিশ (ফাইনাল), মাস্টার অব আর্টস ইন ইংলিশ (প্রিলিমিনারী ও ফাইনাল), ব্যাচেলর অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, এম.এসসি. ইন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, বি.এসসি. ইন মাইক্রোবায়োলোজি, এম.এস ইন মাইক্রোবায়োলোজি, ব্যাচেলর অব ফার্মেসি।

স্টামফোর্ডে ৩ সেমিস্টারে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্প্রিং: জানুয়ারি থেকে এপ্রিল। সামার: মে থেকে আগস্ট। ফল: সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির আবেদন করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় কমপক্ষে পৃথকভাবে জিপিএ ২.৫০ থাকতে হবে।

তথ্যের জন্য যোগাযোগঃ প্রধান কার্যালয় ও ধানমন্ডি ক্যাম্পাস- ৭৪৪, সাত-মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯।



ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

স্নাতক পর্বেঃ বিবিএ (ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, ফাইন্যান্স, হিসাব বিজ্ঞান, এমআইএস, এইচআরএম), এলএলবি (সম্মান), এলএলবি (দুই বছর), ইংলিশ, ব্যাচেলর অব ফার্মাসী, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটিং এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স, মেকানিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামগুলো ওয়েভার সহ ৪ বছরে কম সময়ে শেষ করতে পারবেন।

শিক্ষার্থীদের অন্যান্য সুবিধাদিঃ আমেরিকান পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থা, ‘অ+’ গ্রেড প্রাপ্তদের ফুল ফ্রী, সর্বনিম্ন টিউশন ফি (পাঠ্য সময় বিবেচনায় সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও কম), অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যে ২৫%-১০০% বৃত্তি, একই পরিবারের একাধিক শিক্ষার্থী, ছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রতিবন্ধী, খেলোয়ার ও মফস্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ফি মওকুফ করা হয়।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্রাজুয়েট পর্যায়ে ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ইকোনমিক্স, বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন কম্পিউটার এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ইলেকট্রনিক এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। অদূর ভবিষ্যতে একাউন্টিং, ফার্মেসী, ইংরেজি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কোর্স চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে মাস্টার অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ), এক্সিকিউটিভ এমবিএ, এম.এস. ইন ইকোনমিক্স, মাস্টার ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এম.ডি.এস), এমএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং রয়েছে। এছাড়া সিসকো নেটওয়ার্কিং নামে এখানে একটি বিশেষ কোর্স রয়েছে।

ভর্তি প্রক্রিয়াঃ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে ন্যূনতম ২.৫ সিজিপি পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা আন্ডার গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সিজিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের ৫০ শতাংশ এবং গোল্ডেন-৫ প্রাপ্তদের ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফির ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

ভর্তি ফিঃ আন্ডার গ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম বিবিএতে মোট ১২৩ ক্রেডিট পড়ানো হয়। প্রতি ক্রেডিট-এর জন্য ৪০০০ টাকা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মোট ১৩২ থেকে ১৪৩.৫ ক্রেডিট পড়ানো হয়। এ ক্ষেত্রেও প্রতি ক্রেডিট-এর জন্য ৪০০০ টাকা ছাত্রদের প্রদান করতে হয়।

সম্প্রসারিত নতুন ক্যাম্পাসঃ বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে ছাত্রছাত্রীর সংখা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নগরীর কাওরানবাজার এলাকায় ফেব্রুয়ারী ২০১০ থেকে স্কুল অব বিজনেস-এর একটি নতুন ক্যাম্পাস পরিচালিত হচ্ছে।

স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণঃ বিশ্ববিদ্যালায়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে নগরীর সাঁতারকুল এলাকায় প্রস্তাবিত ইউনাইটেড সিটিতে ২৫ বিঘা জমি ক্রয় করা হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অনতিবিলম্বে শুরু করা হবে।

ঠিকানাঃ ইউ.আই.ইউ ভবন, বাড়ী নং- ৮০, রোড নং ৮/এ (পুরাতন ১৫), মীর্জা গোলাম হাফিজ রোড, ঢাকা-১২০৯, ফোন: ৯১২৫৯১২-৬, ফ্যাক্স: ৯১১৮১৭০।



সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি

যেসব বিষয়ে পড়ানো হয়ঃ বিবিএ, বিএসসি ইন ফার্মেসী, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, ইসলামিক স্টাডিজ।

ভর্তির যোগ্যতাঃ ১. এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে জিপিএ ২.৫ অথবা এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। ২. ‘ও’ লেভেল, এ ন্যূনতম ৩ টি এবং ‘এ’ লেভেল এ ন্যূনতম ২টি, বিষয়ের এ মোট ৫ বিষয়ের গড় প্রাপ্ত জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে।

ভর্তির নিয়মাবলীঃ ১. আবেদনপত্র চিঠি, ওয়েবসাইট ও ই-মেইল এর মাধ্যমে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি শাখা হতে সংগ্রহ করা যাবে। ভর্তি ফরম ফি টাকা ৫০০ মাত্র। ২. আবেদনপত্র নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। ৩. ভর্তি পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।



বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি

দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থাপিত এই ইউনিভার্সিটি মূলত নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উচ্চশিক্ষার আশ্রয়স্থল। সীমিত আসনের পাবলিক ও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ভর্তি হতে ব্যর্থ ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই আর্থিক কারণে নামী-দামি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করেই মূলতঃ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির কোর্স ফি অন্যান্য ইউনিভার্সিটির তুলনায় বেশ কম। ফলে দেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অবদান রাখছে।

প্রোগ্রামসমূহঃ বিবিএ ৩,০৬,০০০/-, বিএ (অনার্স), ইংলিশ ১,৭৬,০০০/-, বিএসএস (অনার্স) ইন ইকোনমিক্স ১,৬৬,০০০/-, বিএসএস (অনার্স) সোসিওলজি ১,৭৬,০০০/-, ফার্মেসি (বি.ফার্ম) ৩,৯৬,০০০/-, গণিত (অনার্স) ১,৩৬,০০০/-, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ৩,০৬,০০০/-, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ৩,৬৬,০০০/-, আর্কিটেকচার (বি. আর্ক) ৩,৬৬,০০০/-, এমবিএ রেগুলার (২০ মাস) ১,৫৯,০০০/-, এমবিএ এক্সিকিউটিভ (১৬ মাস) ১,২৮,০০০/-, এমএ ইন ইংলিশ (প্রিলি: এবং ফাইনাল) ৮৬,০০০/-, এমএ ইন ইংলিশ (ফাইনাল) ৪৩,০০০/-, এলএল.বি (অনার্স) -৪ বছর ২,০৬,০০০/-, এলএল.বি (ডিগ্রী-২ বছর) ৫০,০০০/-, এলএল.এম- (১ বছর) ২৫,০০০/-, বি.এড -(১ বছর) ১৫,০০০/-।

যোগাযোগঃ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, ১৫/১, ইকবাল রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭। ফোন: ৯১৩৬০৩১, ৮১১৭৯৫১, ০১৭১৭-৫৭৯২৭৮ ওয়েবসাইট: িি.িনধহমষধফবংযঁহরাবৎংরঃু.বফঁ.ফন.



আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ২৩ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে সরকারের অনুমোদন লাভ করে এবং ১৯ মে ২০০৭ তারিখ থেকে মোট ৭৭১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ মঈনউদ্দিন খান-এর নেতৃত্বে ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত নিজস্ব ১৫ তলা ভবনের ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮মতম তলায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল মূলতঃ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সামর্থ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা দান করা এবং যে সকল শিক্ষার্থীগণ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী তাদেরকে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা দানসহ উচ্চশিক্ষাকে সহজলভ্য করা।

আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর একটি বিশেষত্ব হল- আশা ইউনিভার্সিটি এবং আশা’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানাদি এবং আশার সদস্যদের সন্তানাদিদের ১৫%-৩০% বিশেষ ‘ওয়েভার’ দিয়ে আশা ইউনিভার্সিটিতে লেখা-পড়ার সুযোগ প্রদান করা এবং আশা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল এবং সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ১৫%-১০০% পর্যন্ত ওয়েভার প্রদান করা হয়।

যে বিষয়ে পড়ানো হয়ঃ বিবিএ, এলএলবি, বিএ ইন ইংলিশ।



অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অভ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি

প্রতিষ্ঠাঃ ২০০৪ সাল। ফয়সাল টাওয়ার, ২৭ উত্তর গুলশান সি/এ, সার্কেল-২, ঢাকা-১২১২। ফোনঃ ০২ ৯৮৯৭৭০০, ফ্যাক্সঃ ০২ ৯৮৬৩৩৩৬।

যে বিষয়গুলো পড়ানো হয়ঃ বিবিএ, অর্থনীতি, কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্্রটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসী, পরিবেশ বিজ্ঞান, বিবিএ ইন এগ্রিবিজনেস, ইংরেজি, ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়সমূহ পড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরা ক্যাম্পাসে একই বিষয়সমূহ পড়ানো হয়।



ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি

স্নাতক পর্যায়ের বিষয়সমূহঃ বিবিএ: একাউন্টিং, ফিন্যান্স, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস। বিএসসি: ইকোনোমিকস, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক এ্যান্ড টেলিকমিউনিকশেন ইঞ্জিনিয়ারিং, ল্যান্ড এ্যান্ড ওয়াটার রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট, পপুলেশন এনভায়রনমেন্ট। বিএ: ইংলিশ লিটারেচার, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং (ইএলটি)। বিএসএস: মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশন, অ্যানথ্রপলজি (নৃ বিজ্ঞান)।

ভর্তির সময়ঃ ম্প্রিং সেমিস্টার: জানুয়ারি থেকে মে, সামার সেমিস্টার: জুন থেকে জুলাই, অটাম সেমিস্টার: আগস্ট থেকে ডিসেম্বর।

যা খরচ হবেঃ স্নাতক পর্যায়- বিবিএ ৪৯৬,০০০-৫০০,০০০ টাকা। বিএসসি ইকোনোমিকস ৪৮৪,০০০-৪৮৮,০০০ টাকা। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ৫০৪,০০০-৫২৪,০০০ টাকা। বিএসসি এনভায়রনমেন্ট ৪৯৬,০০০-৫০০,০০০ টাকা। বিএসএস ৪৯৬,০০০-৫০৮,০০০ টাকা। বিএ ৪৯৬,০০০ (এর সাথে ১৫,০০০ টাকা ভর্তি ফি যোগ করতে হবে)।



১. নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯২

১২ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১২১৩

ফোন: ০২ ৯৮৮৫৬১১-২০, ফ্যাক্স: ০২ ৮৮২৩০৩০

ইমেইল: বমরংঃৎধৎ@ হড়ৎঃযংড়ঁঃয.বফঁ ওয়েবসাইট: িি.িহড়ৎঃযংড়ঁঃয.বফঁ

২. ইউনিভার্সিটি অভ্ সায়েন্স অ্যাণ্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯২

ফয়’স লেক, খুলশী, চট্টগ্রাম-৪২০২

ফোন: ০৩১ ৬৫৯০৭০-৭১, ফ্যাক্স: ০৩১ ৬৫৯৫৪৫

ইমেইল: ঁংঃপ-পংঃ@ংঢ়হবঃপঃম.পড়স

৩. ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৩

৫৮ পার্ক রোড, বারিধারা, ঢাকা-১২১২

ফোন: ০২ ৯৮৬২৩৮৬-৯০, ফ্যাক্স: ০২ ৮৮২৩৯৫৯

ইমেইল: রহভড়@রঁন.বফঁ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িরঁন.বফঁ.নফ

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৩

বাড়ি- ২১, সড়ক-৯/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা-১২০৯

ফোন: ০২ ৯১২৭৮৪১, ফ্যাক্স: ০২ ৮১১৪৭৪৬

ইমেইল: রহভড়@ফরঁ.বফঁ ওয়েবসাইট: িি.িফরঁ.বফঁ.নফ.পড়স

৫. ইন্টরন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অভ বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৩

৪ এমব্যাংকমেন্ট ড্রাইভ রোড, সেক্টর-১০, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০

ফোন: ০২ ৮৯৬৩৫২৩-২৭, ফ্যাক্স: ০২ ৮৯২২৬২৫

ইমেইল: রহভড়@রঁনধঃবফঁ ওয়েবসাইট: িি.িরঁনধঃবফঁ

৬. আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৫

১৫৪/এ, কলেজ রোড, চট্টগ্রাম-৪২০৩

ফোন: ০৩১ ৬১০০৮৫, ফ্যাক্স: ০৩১ ৬১০৩০৭

ইমেইল: রহভড়@ররঁপ.ধপ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িররঁপ.ধপ.নফ

৭. আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৫

১৪১-১৪২ লাভ রোড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫

ফোন: ০২ ৯৯৮৬০৯০৭, ফ্যাক্স: ০২ ৯৮৬০৫৬৪

ইমেইল: াপ@ধঁংঃবফঁ ওয়েবসাইট: িি.িধঁংঃবফঁ

৮. আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৫

বাড়ি- ৮৩/বি, রোড- ০৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩

ফোন: ০২ ৮৮১৫৩৮৭, ফ্যাক্স: ০২ ৮৮১৩২৩৩

ইমেইল: রহভড়@ধরঁন.বফঁ ওয়েবসাইট: িি.িধরঁন.বফঁ

৯. এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৬

বাড়ি- ৯, রোড- ৫, সেক্টর- ৭, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০

ফোন: ০২ ৮৯১৬১১৬, ফ্যাক্স: ০২ ৮৯১৬৫২১

ইমেইল: রহভড়@ধঁন-নফ.ড়ৎম ওয়েবসাইট: িি.ি ধঁন-নফ. ড়ৎম

১০. ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৬

৪১, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৯ মহাখালী বা/এ, ঢাকা-১২১২

ফোন: ০২ ৯৮৮২৩০৮ ফ্যাক্স: ০২ ৮৮১২৩৩৬

ইমেইল: ৎবমরংঃৎধৎ@বঁিনফ.বফঁ,, ওয়েবসাইট: িি.িবঁিনফ.বফঁ

১১. দি ইউনিভার্সিটি অভ এশিয়া প্যাসিফিক

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৬

বাড়ি-৭৩, সড়ক-৫/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯

ফোন: ০২ ৯৬৬৪৯৫৩, ফ্যাক্স: ০২ ৯৬৬৪৯৫০

ইমেইল: ধফসরহ@ঁধঢ়-নফ.বফঁ ওয়েবসাইট: িি.ি ঁধঢ়-নফ.বফঁ

১২. গণ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৬

গণ ?া?্যকেন্দ্র কমপ্লেক্স, পোঃ মির্জানগর, সাভার, ঢাকা-১৩৪৪

ফোন: ০২ ৭৭৯১৮৮৪, ফ্যাক্স: ০২ ৭৭৯১৭৫৫

ইমেইল: মনরফুধষধ@ধমহর.পড়স

১৩. দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অভ বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৬

৩/২, ব্লক-এ, আসাদ এভিনিউ

মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

ফোন: ০২ ৮১২৮৬৭৯, ফ্যাক্স: ০২ ৯১২৮০০৯

ইমেইল: ঢ়বড়ঢ়ষবংঁহরাবৎংরঃু@ুধযড়ড়.পড়স

ওয়েবসাইট: িি.িঃযবঢ়ঁঢ়.ধপ.নফ

১৪. ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০০

বাড়ি- ৬, রোড- ১, ব্লক-এফ, বনানী, ঢাকা-১২১৩

ফোন: ০২ ৮৮৫৮৭৩৪-৫, ফ্যাক্স: ০২ ৯৮৭১৫৫৬

ইমেইল: ফরঁ@ুধযড়ড়.পড়স ওয়েবসাইট: িি.িফরঁ-বফঁ.হবঃ

১৫. ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০১

৬৬ মহাখালী, ঢাকা-১২১২

ফোন: ০২ ৮৮২৪০৫১, ফ্যাক্স: ০২ ৮৮১০৩৮৩

ইমেইলঃ রহভড়@নৎধপ.ধপ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িনৎধপ.ধপ.নফ

১৬. মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০১

প্লট # সিইএন ১৬, রোড # ১০৬, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২

ফোন: ০২ ৮৮১৭৫২৫, ফ্যাক্স: ০২ ৯৮৬২২২৬

ইমেইলঃ রহভড়@সধহধৎধঃধপ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িসধহধৎধঃধপ.নফ

১৭. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০১

১৫/১, ইকবাল রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

ফোন: ০২ ৯১৩৬০৬১, ফ্যাক্স: ০২ ৯১১৯৫৫৫

ইমেইলঃ নঁ@পরঃবপযপড়.হবঃ ওয়েবসাইট: িি.িনধহমষধফবংযঁহরাবৎংরঃু.বফঁ.নফ

১৮. লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট, বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০১

মধুবন, বন্দর বাজার, সিলেট

ফোন: ০৮২১ ৭২০৩০৩-০৬, ফ্যাক্স: ০৮২১ ৭২০৩০৭

ইমেইল: : রহভড়@ষঁং.ধপ.নফ ওয়েবসাইট: : িি.িষঁং.ধপ.নফ

১৯. বি জি সি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০১

বিজিসি বিদ্যানগর, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

ফোন: ০৩১ ৬৫৪৭৬৭

ইমেইল: নমপঃঁন@ুধযড়ড়.পড়স ওয়েবসাইট: িি.িনমপঃঁসপয-বফঁ.ড়ৎম

২০. সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০১

শামীমাবাদ, বাগবাড়ী, সিলেট।

ফোন: ০৮২১ ৭২০৭৭১ ফ্যাক্স: ০৮২১ ৭২৫৬৪৪

ইমেইল: ংরঁথংুষ@ুধযড়ড়.পড়স ওয়েবসাইট: িি.িংরঁ.বফঁ.নফ

২১. ইউনিভার্সিটি অভ ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

বাড়ি নং ৩০১, রোড নং ১৪/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা-১২০৯, ফোন: ০২ ৯১৪৫৭৪০-৪১, ফ্যাক্স: ০২ ৮১৫৭৩৩৯, ইমেইল: রভভধঃ@ঁড়ফধ.ড়ৎম

২২. প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

প্রতিষ্ঠা: ২০০১

১/এ ও, আর, নিজাম রোড, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম

ফোন: ০৩১ ৬৫৬৯১৭, ৬৫৭৬৫৪, ফ্যাক্স: ০৩১ ৬৫৭৮৯২ ইমেইল: ঢ়ঁপ@ঢ়ঁনফ.হবঃ ওয়েবসাইট: িি.িঢ়ঁনফ.হবঃ

২৩. সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

এ আর টাওয়ার, ২৪, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩

ফোন: ০২ ৯৮৮২৩৪০, ফ্যাক্স: ০২ ৯৮৯২৯১৪

ইমেইল: রহভড়@ংবঁ.ধপ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িংবঁ.ধপ.নফ

২৪. স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

বাড়ি-৩৬, রোড- ৯/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা-১২০৯

ফোন: ০২ ৮১৫৩১৬৮-৬৯, ফ্যাক্স: ০২ ৯১৪৩৫৩১

ইমেইল: ৎবমরংঃৎধৎ@ংঃধসভড়ৎফঁহরাবৎংরঃু.হবঃ ওয়েবসাইট: িি.িংঃধসভড়ৎফ.ধপ

২৫. ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

১০২ শুক্রাবাদ, মিরপুর রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা-১২০৭

ফোন: ০২ ৯১৩৮২৩৪-৫, ফ্যাক্স: ০২ ৯১৩১৯৪৭

২৬. স্টেট ইউনিভার্সিটি অভ বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

৭৭ সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫

ফোন: ০২ ৮১৫১৭৮৩-৫, ফ্যাক্স: ০২ ৮১২৩২৯৬

ইমেইল: রহভড়@ংঁনফ.হবঃ ওয়েবসাইট: িি.িংঁনফ.হবঃ

২৭. ইবাইস ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

বাড়ি নং ৫৭, সড়ক নং ১২/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা-১২০৯, ফোন: ০২ ৯১২১৯২৭, ফ্যাক্স: ০২ ৯১২১৯৭০। ইমেইল: ৎবমরংঃৎধৎ@রনধরং.বফঁ

ওয়েব সাইট: িি.িরনধরং.বফঁ

২৮. সিটি ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩ ফোন: ০২ ৯৮৯৩৯৮৩, ফ্যাক্স: ০২ ৮৮৫৯৫৯৭, ইমেইলঃ ৎবমরংঃৎধৎথপরঃু@ুধযড়ড়.পড়স ওয়েবসাইট: িি.িপরঃুঁহরাবৎংরঃু.বফঁ.নফ

২৯. প্রাইম ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

২এ/১, দারুস সালাম রোড, সেকশন-১, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

ফোন: ০২ ৮০১৪০৪৫, ফ্যাক্স: ০২ ৮০৫৫৬৪৭

ইমেইল: রহভড়@ঢ়ৎরসবঁহরাবৎংরঃুনফ.পড়স ওয়েবসাইট: িি.িঢ়ৎরসবঁহরাবৎংরঃুনফ.পড়স

৩০. নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

৩/১৮, ইকবাল রোড, ব্লক-এ, মোহাম্মদপুর,ঢাকা-১২০৭। ফোন: ০২ ৯১১০২৬৫, ফ্যাক্স: ০২ ৮১২৬১৫৭, ইমেইল: ধফসরংংরড়হ@হঁন.ধপ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িহঁন.ধপ.নফ

৩১. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

৭৩৯/এ মেহেদিবাগ রোড, চট্টগ্রাম-৪০০০

ফোন: ০৩১ ৬২৬৭৪৪, ফ্যাক্স: ০৩১ ২৮৫১৩৪০

ইমেইল: রহভড়@ ংড়ঁঃযবৎহ-নফ.রহভড় ওয়েবসাইট: িি.িংড়ঁঃযবৎহ-নফ.রহভড়

৩২. গ্রীন ইউনিভার্সিটি অভ বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০২

২২০/ডি, পশ্চিম কাফরুল, বেগম রোকেয়া সরণী, ঢাকা -১২০৭, ফোন: ০২ ৯০১৪৭২৫,

ফ্যাক্স: ০২ ৯০১৪৬২৫

ইমেইল: রহভড়@মঁন.ধপ.নফ

ওয়েবসাইট: িি.িমঁন.ধপ.নফ

৩৩. ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অভ বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

৫/৫ লালমাটিয়া, ব্লক-ই, ঢাকা-১২০৭

ফোন: ০২ ৮১৫৫৩০৮

ইমেইল: রহভড়@ঁিন.বফঁ

ওয়েবসাইট: িি.িঁিন.বফঁ

৩৪. শান্তমারিয়াম ইউনিভার্সিটি অভ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

বাড়ি- ১, রোড- ১৪, সেক্টর- ১৩, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০

ফোন: ০২ ৮৯১৮৯৩২, ফ্যাক্স: ০২ ৮৯১৫৩০৮

ইমেইল: নরধফঃ@নফড়হষরহব.পড়স ওয়েবসাইট: িি.িংযধহঃড়সধৎরধসবফঁ.পড়স

৩৫. দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

মোমেনবাগ, শান্তিগর, মতিঝিল, ঢাকা-১২১৭

ফোনঃ ০২ ৯৩৬০৮৩৬, ফ্যাক্স: ০২ ৯৩৩১৫৮৯

ইমেইল: শযধহভড়ঁহ@নফড়হষরহব.পড়স

৩৬. ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

বাড়ি- ১৫/২, রোড- ৩, ধানমণ্ডি, ঢাকা-১২০৫।

ফোন: ০২ ৯৬৭৬০৩১-৫, ফ্যাক্স: ০২ ৯৬৭৫৯৮১

ইমেইল: রহভড়@বধংঃবৎহঁহর.বফঁ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িবধংঃবৎহঁহর.বফঁ.নফ

৩৭. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

ঢাকা কমার্স কলেজ রোড, মিরপুর- ২, ঢাকা-১২১৬

ফোন: ০২ ৮০৫৭৫৮১-২, ফ্যাক্স: ০২ ৮০৫৭৫৮৩

ইমেইল: নঁনঃ@নফড়হষরহব.পড়স ওয়েবসাইট: িি.িনঁনঃবফঁ.পড়স

৩৮. মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

আল-হামরা (৮ম তলা), জিন্দাবাজার, সিলেট

ফোন: ০৮২১ ৮১৬১৯৮-৯, ফ্যাক্স: ০৮২১ ৭১৩৩০৪

ইমেইল: রহভড়@সবঃৎড়ঁহর.বফঁ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িসবঃৎড়ঁহর.বফঁ.নফ

৩৯. উত্তরা ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

বাড়ি নং ৪, রোড নং ১৫, সেক্টর নং ৬, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, ফোন: ০২ ৮৯১৯১১৬, ফ্যাক্স: ০২ ৮৯১৮০৪৭

ইমেইল: ঁঁসধরহথবফঁ@ুধযড়ড়.পড়স

৪০. ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩ বাড়ি- ৮০, রোড- ৮এ (পুরাতন-১৫), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯

ফোন: ০২ ৯১২৫৯১২-৫, ফ্যাক্স: ০২ ৯১২৫৯১৬

ইমেইল: রহভড়@ঁরঁ.ধপ.নফ

ওয়েবসাইট: িি.িঁরঁ.ধপ.নফ

৪১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অভ বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

৫৮/১১/এ পান্থপথ, বারেক ম্যানসন, ঢাকা-১২০৫ ফোন: ০২ ৮৬২২৬৩৪-৫, ফ্যাক্স: ০২ ৮৬২২৬৩৫

ই-মেইল: রহভড়@াঁন.বফঁ.নফ

ওয়েবসাইট: িি.িাঁন.বফঁ.নফ

৪২. ইউনিভার্সিটি অভ সাউথ এশিয়া

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

বাড়ি- ৭৬ ও ৭৮, রোড- ১৪, ব্লক-বি, বনানী, ঢাকা -১২১৩ ফোন: ০২ ৮৮৫৭০৭৩-৫,

ফ্যাক্স: ০২ ৮৩১৩৩০৮

ইমেইল: ঁহরংধ@পরঃবপয-নফ.পড়স ওয়েবসাইট: িি.িঁহরংধ.ধপ.নফ

৪৩. প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

বাড়ি- ১১/এ, রোড- ৯২, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২

ফোন: ০২ ৮৮৫৭৬১৭-৮ ফ্যাক্স: ০২ ৮৮৩১১৮২

ইমেইল: রহভড়@ঢ়ৎবংরফবহপু.বফঁ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িঢ়ৎবংরফবহপু.বফঁ.নফ

৪৪. ইউনিভার্সিটি অভ ইন্ফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সাইন্সেস

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

১৭ উত্তর গুলশান বা/এ, পিবিএল টাওয়ার, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২

ফোন: ০২ ৯৮৯২৭৫৫, ফ্যাক্স: ০২ ৯৮৯১০৯৪

ইমেইল: রহভড়@ঁরঃং-নফ.ড়ৎম

ওয়েবসাইট: িি.িঁরঃং-নফ.ড়ৎম

৪৫. প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

৯ বনানী, ঢাকা-১২১৩

ফোন: ০২ ৮৮৫৩৩৮৬ ফ্যাক্স: ০২ ৮৮৫৩৩৮৬

ইমেইল: ৎবমরংঃৎধৎ@ঢ়ৎরসবধংরধ.বফঁ.নফ, ওয়েবসাইট: িি.িঢ়ৎরসবধংরধ.বফঁ.নফ

৪৬. রয়েল ইউনিভার্সিটি

অভ ঢাকা

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

বাড়ি নং- ১৭, রোড নং- ১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩

ফোন: ০২ ৯৮৮৬১৫০, ফ্যাক্স: ০২ ৮৮২৬৯৭১

ইমেইল: ৎবমরংঃৎধৎ@ৎড়ুধষ.বফঁ.নফ ওয়েবসাইট: িি.িৎড়ুধষ.বফঁ.নফ

৪৭. ইউনিভার্সিটি অভ লিবারেল

আর্টস বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০৩

বাড়ি নং- ৫৬, রোড নং- ৪/এ, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা-১২০৭

ফোন: ০২ ৯৬৬১২৫৫, ফ্যাক্স: ০২ ৯৬৭০৯৩১

ইমেইল: রহভড়@ঁষধনফ.বফঁ.নফ

ওয়েবসাইট: িি.িঁষধনফ.বফঁ.নফ

৪৮. অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি

অভ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৪

ফয়সাল টাওয়ার, ২৭ উত্তর গুলশান সি/এ, সার্কেল- ২, ঢাকা-১২১২

ফোন: ০২ ৯৮৯৭৭০০ ফ্যাক্স: ০২ ৯৮৬৩৩৩৬

ওয়েবসাইট: িি.ি ধঃরংযফরঢ়ধহশধৎঁহরাবৎংরঃু.বফঁ.নফ

৪৯. বাংলাদেশ ইসলামী

বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠা: ২০০৫

গজারিয়া টাওয়ার ৮৯/১২ আর.কে.মিশন রোড, গোপীবাগ, ঢাকা-১২০৩

ফোন: ০২ ৭৫৫২৪৯৫-৬

ফ্যাক্স: ০২ ৭৫৫৪১০৯

ইমেইল: নরঁফযধশধ@ুধযড়ড়.পড়স ওয়েবসাইট: িি.িনরঁ.ধপ.নফ

৫০. আশা ইউনিভার্সিটি

বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠা: ২০০৬

আশা টাওয়ার, ২৩/৩, খিলজি রোড

শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

ফোন: ০২ ৮১৩০২৩৮, ফ্যাক্স: ০২ ৮১১৪৮৩১

ইমেইল: রহভড়@ধংধঁন.বফঁ.নফ

ওয়েবসাইট: িি.িধংধঁন.বফঁ.নফ

৫১. ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠা: ২০০৬

১২৬৭/এ গোসাইলডাঙ্গা, আগ্রাবাদ, চট্টগাম

ফোন: ০৩১ ২৫১৪৪৪১-৩

ফ্যাক্স: ০৩১ ২৫১৪৪৪০

ই-মেইল: বহয়ঁরৎু@বধংঃফবষঃধ.বফঁ.নফ

ওয়েবসাইট: িি.িবধংঃফবষঃধ.বফঁ.নফ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ঠিকানাঃ সাভার, ঢাকা। ফোন: ৭৭৯১০৪৫-৫১

ভিসির নামঃ অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির।

অনুষদঃ ৫টি অনুষদ ও ২টি ইনস্টিটিউট।

অনুষদভিত্তিক ডিপার্টমেন্টের নামঃ গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদ- (ক ইউনিট): ১) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ২) গণিত ৩) পদার্থ বিজ্ঞান ৪) পরিসংখ্যান ৫) ভুতাত্ত্বিক বিজ্ঞান ৬) রসায়ন বিভাগ ৭) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ।

সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ- (খ ইউনিট): ১) অর্থনীতি ২) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা ৩) নৃবিজ্ঞান ৪) ভুুগোল ও পরিবেশ ৫) সরকার ও রাজনীতি ৬) লোক প্রশাসন

কলা ও মানবিকী অনুষদ- (গ- ইউনিট): ১) আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক ২) ইংরেজি ৩) ইতিহাস ৪) দর্শন ৫) নাটক ও নাট্যতত্ত্ব ৬) প্রতœতত্ত্ব ৭) বাংলা।

জীব বিজ্ঞান অনুষদ- (ঘ ইউনিট): ১) উদ্ভিদ বিজ্ঞান ২) প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ ৩) প্রাণিবিদ্যা ৪) ফার্মেসি ৫) মাইক্রো বায়োলজি

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ-(ঙ ইউনিট): ১) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং ২) মার্কেটিং বিভাগ।

২টি ইনস্টিটিউট: ১) ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনেস্ট্রেশন, ২) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি।

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতাঃ প্রতি বিষয়ের জন্য পৃথকভাবে পরীক্ষা হয়। সে অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির যোগ্যতা চাওয়া হয়। এবার কোন ধরনের যোগ্যতা চাওয়া হবে তা নির্ধারণ হবে কয়েকদিন পরে।

ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতিঃ ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে। মোট ৮০ টি প্রশ্ন থাকবে। প্রত্যেক প্রশ্নের মান হবে ১.২০। ভুল উত্তরের জন্য কোন নম্বর কাটা যাবে না। পাশ নম্বর ৩৫।

কোন মাসে পরীক্ষা হয়ঃ সাধারণত নভেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাস শুরু হয় জানুয়ারির এক তারিখ।

মোট আসন সংখ্যা (গত বছর যা ছিল)ঃ ১৫০০।

একটি সিটের বিপরীতে প্রতিযোগিতাঃ এক সিটের বিপরীতে গড়ে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

ভর্তি খরচঃ বিভিন্ন অনুষদে বিভিন্ন ভর্তি ফি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তবে যে সকল বিভাগে গবেষণাগার রয়েছে অর্থাৎ বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলোর জন্য তুলনামুলক বেশী ফি প্রদান করতে হয়। সায়েন্স অনুষদের জন্য সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ম ৩০০০ টাকা। অন্যান্য অনুষদে সর্বনিম্ম ২,৫০০ টাকা।

আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় ক্লাস শুরুর প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি শিক্ষার্থীকে হলের সাথে যুক্ত করা হয়। পরবর্তী সিট ফাকা হলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সিট প্রদান করা হয়।

আবাসিক হলঃ ছেলেদের ৭টি এবং মেয়েদের ৫টি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আসন্ন ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চল্লিশটি বিভাগে মোট প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। চবির ৮টি ইউনিটের মাধ্যমে ছয়টি অনুষদের অধীনে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি করানো হবে।

চলতি ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এবার ৮টি ইউনিটের অধীনে ৪০টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে মোট সাড়ে তিনহাজার ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ আসন দুই হাজার ৭শত ৫৪টি এবং উপজাতি, অ-উপজাতি, ওয়ার্ড, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, প্রতিবদ্ধী, খেলোয়াড়, বিদেশী এবং শিল্পী কোটার জন্য রয়েছে ৬৫১টি সংরক্ষিত আসন।

চবির ইউনিটভিত্তিক বিভিন্ন বিভাগের আসনের সংখ্যাঃ ‘ক’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদে) সর্বমোট ৫৯৯টি আসনের মধ্যে পদার্থবিদ্যায় ১১৯টি, রসায়ন বিভাগে ১১৯টি, গণিত বিভাগে ১১৯টি, পরিসংখ্যান বিভাগে ১১৯টি, কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং ৬৩টি এবং ফলিত পদার্থবিদ্যা, ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

‘খ’ ইউনিটের (কলা অনুষদ) ১০টি বিভাগের ৯২১টি আসনের মধ্যে বাংলা, ইংরেজী, ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের প্রতিটিতে ১১৯ জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১৩০ জন, চারুকলা বিভাগে ৪২জন, আরবি ও ফার্সী বিভাগে ১০১ জন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ৯৫ জন, প্রাচ্যভাষায় ৬২ জন, এবং নাট্যকলা বিভাগে ১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।

‘গ’ ইউনিটের (ব্যবসায় প্রশাসন অনুুষদ) চারটি বিভাগের ৪৭৬টি আসনের মধ্যে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং এবং মার্কেটিং স্টাডিজ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের প্রত্যেকটিতে ১১৯ জন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারবে।

‘ঘ’ ইউনিটের (সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ) ৭১০টি আসনের মধ্যে এ ইউনিটের ৭টি বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে। এর মধ্যে অর্থনীতি, রাজনীতি বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, লোক প্রশাসন এ চারটি বিভাগে ১৩৬ জন করে এবং অন্যবিভাগের মধ্যে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ৫৩ জন, আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগে ৫০ জন এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৬৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

‘ঙ’ ইউনিটভুক্ত একমাত্র বিভাগ আইন বিভাগে ১১৯ জন শিক্ষার্থী।

‘চ’ ইউনিটের অধীনে বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনষ্টিটিউটের দুটি বিভাগ ফরেষ্ট্রি এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে যথাক্রমে ৪৪ এবং ২৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।

‘ছ’ ইউনিটের একমাত্র মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ বিভাগে ৫৩ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারবে।

‘জ’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ৮টি বিভাগে ৪০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। এর মধ্যে উদ্ভিদ বিদ্যা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রতিটিতে ৯৭ জন শিক্ষার্থী, মাইক্রোবায়োলজি ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে ৩৫ জন করে শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে ২৮ জন এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সিট বরাদ্দ কমিটি কর্তৃক বিভিন্ন অনুষদের বিভাগগুলোর জন্য উপরোক্ত সংখ্যক আসন নির্ধারণ করা হলেও বিভাগের অবকাঠামোগত সুবিধা পর্যাপ্ত পরিমানে থাকলে নির্ধারিত আসনের বাইরে বিভাগগুলো ১০% বেশী শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে বলে চবি একাডেমিক অফিসসূত্রে জানা গেছে।

আবাসনঃ প্রতিষ্ঠালগ্নে চবি’কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচালনার কথা থাকলেও অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে সব শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেনি চবি কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত নির্মিত চবির ৬টি ছাত্র হল, ৩টি ছাত্রী হল ও ফরেষ্ট্রি হোস্টেলে সবমিলিয়ে মোট চার হাজার দুই শত উনত্রিশ জন ছাত্র-ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। হল এবং হোস্টেলের আবাসনের মধ্যে আলাওল হলে ২৬০টি, এ. এফ. রহমান হলে ২৫৮টি, শাহজালাল হলে ৪৭৫টি, শাহ আমানত হলে ৬৩২টি, সোহরাওয়ার্দী হলে ৩৭৫টি শহীদ আবদুর রব হলে ৫০৯টি, শামসুননাহার হলে ৪৬৯টি, প্রীতিলতা হলে ৫৩১টি, খালেদা জিয়া হলে ৫০৮টি এবং ফরেষ্ট্রি হোস্টেলে ২১২টি সিট রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত আবাসিক হল ছাড়াও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি মালিকানাধীন কটেজে সহস্রাধিক ছাত্র অবস্থান করে থাকে।

কানাডায় উচ্চ শিক্ষা

উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। উন্নত বিশ্বের অন্যতম একটি দেশ। উচ্চ শিক্ষার এক চমৎকার স্থান। গোটা দেশজুড়ে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলো ছড়িয়ে আছে। Association of Universities and College of Canada (AUCC)-ই কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করে। এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯টি। এখানকার পড়াশোনা, ডিগ্রি বিশ্বমানের। কর্মসংস্থান ও জীবন সবদিক থেকেই কানাডার স্থান প্রথম দিকে। পড়াশোনা শেষে এখানে কর্মসংস্থানসহ এমনকি পড়াশোনা অবস্থায়ই নাগরিকত্ব লাভের সুযোগও রয়েছে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় কানাডা অন্যতম পছন্দ। এ নিয়েই এবারের আয়োজন কানাডায় উচ্চ শিক্ষা।

শিক্ষার ধরন :
কানাডায় উচ্চ শিক্ষা লাভে আন্ডার গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং ডক্টরেট রয়েছে। এখানে একজন শিক্ষার্থী ফুলটাইম অথবা পার্টটাইম পড়াশোনা করতে পারে। এ শিক্ষার পাশাপাশি এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কো-অপারেটিভ এডুকেশন, ডিস্ট্যান্ট লার্নিং, কন্টিনিউয়িং এডুকেশন ইত্যাদি কোর্স রয়েছে। রুম, ল্যাবের বাইরেও এখানে শিক্ষার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য রয়েছে ওয়ার্কশপ ও কাউন্সেলিং ব্যবস্থা, পড়াশোনার সহযোগিতার জন্য রয়েছে স্কলারশিপ।

পড়াশোনার মাধ্যম :
কানাডায় ইংরেজি এবং ফ্রেঞ্চ দুটিই অফিসিয়াল ভাষা। তাই সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এ দু’ভাষাতেই পড়াশোনা করা যায়। আপনি কোন বিষয়ে পড়বেন সেটা আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তবে ইংরেজি ভাষা পড়তে TOEFL-এ আপনার স্কোর থাকতে হবে ৫-৬ এর অধিক। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এর ভিন্নতা আছে। আর ফরাসী ভাষায় পড়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

পড়াশোনার বিষয় :
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্ডার গ্রাজুয়েট পর্যায়ে প্রায় দশ হাজার এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট পর্যায়ে প্রায় তিন হাজারটি বিষয় রয়েছে। এর অন্যতম হলো- এডুকেশন, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনোমিক্স, ইতিহাস, রিলিজিওন, ইংরেজি, কম্পিউটার সায়েন্স, ফুড সায়েন্স, বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইলেকট্রনিক্স, মেডিক্যাল সায়েন্স, মেরিন অ্যাফেয়ার্স, জিওগ্রাফি, অ্যাস্ট্রোনমি, ফিলোসফি, আইন, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।

পড়াশোনা ও থাকা খাওয়ার খরচ :
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে খরচও বিভিন্ন রকম। এ ভিন্নতা আবার বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্যাকাল্টি বা বিষয়ের ভিন্নতায়ও বিভিন্ন রকম হয়। তবে আন্ডার গ্রাজুয়েট ৩-৪ বছরব্যাপী কোর্সে টিউশন ফি আনুমানিক বছরে ৫-৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। আর পোস্ট গ্রাজুয়েট ১-২ বছর মেয়াদি কোর্সে বছরে ৬ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত লাগতে পারে। জীবন যাপনের ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্নতা। এখানে অবশ্য থাকা খাওয়া কিছুটা ব্যয়বহুল। এক রুমের এপার্টমেন্ট ভাড়া ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। খেতে প্রতিদিন ১২ শত থেকে ২ হাজার টাকা লাগতে পারে। সে হিসেবে মাসিক খরচ আসে ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ :
কানাডাতে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে কাজ করার জন্য আপনার ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। তবে কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই কাজের সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হয় না। ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে আপনার ক্লাস টাইমে নিয়োগকর্তা আপনাকে ছেড়ে দিতে রাজি থাকলেই কেবল কর্তৃপক্ষ আপনার নামে ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় হতে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। কাজের সুযোগ অনুযায়ি কাজ করতে পারলে এখানে থাকা খাওয়া পড়াশোনার খরচ মিটিয়ে আপনি বাড়িতেও টাকা পাঠাতে পারবেন।

আবেদন, ভর্তি ও ভিসা প্রসেসিং :
কানাডায় পড়তে চাইলে আপনি কোন্ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কোন্ বিষয়ে ভর্তি হতে চান আগে সেটা পছন্দ করতে হবে। পূর্বে সে বিষয়ে পড়ার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা আপনাকে জেনে সেটা অর্জন করতে হবে। এরপর আপনি আন্ডার গ্রাজুয়েটে ভর্তি হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তি হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিন বরাবর আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। সাথে আপনার বিষয়ও তাদের অবহিত করবেন। এটা আপনাকে হাতে কিছুটা সময় রেখেই করতে হবে। ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা অফার লেটার, আর্থিক স্বচ্ছলতার কাগজপত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশের কানাডিয়ান দূতাবাসে দেখিয়ে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। তখন আপনার স্টাডি পারমিট লাগবে। স্টাডি পারমিট সংগ্রহ করতে ৭ থেকে ১৩ হাজার টাকা লাগবে। এরপর আপনি ভিজিটর ডিমান্ড কার্ড পেপার সংগ্রহ করে চলে যাবেন কানডায়।

স্কলারশিপ :
কানাডায় বড় অংকের টিউশন ফি দিয়ে পড়তে হলেও, স্কলারশিপের ব্যবস্থাও আছে। এজন্যে প্রথমে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এরপর যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন বা হবেন সেখানকার Financial Aid office-এ যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা স্কলারশিপ দেয়। যেমন কানাডিয়ান হার্ট ফাউন্ডেশন, ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি, কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ইত্যাদি।

উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয় :
- University of Ottawa
- University of toronto
- University of Victoria
- University of Alberta
- Thompson Rivers University
- University of Guelph

ভাইভার জন্য কয়েকটি টিপ্স

অনেকেই আছেন যারা ইন্টারভিউ বা মৌখিক পরীক্ষার কথা মনে হলেই শীতের মধ্যেও ঘামতে শুরু করেন। তবে চাকরি পেতে হলে প্রত্যেককেই এ ভাইভার মুখোমুখি হতে হয়। আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। একটি সফল ইন্টারভিউ হলো একজন চাকরি প্রার্থীর জীবনের সফলতার জন্য অপরিহার্য একটি অধ্যায়। তাই ভাইভা চলাকালীন সময় প্রার্থীকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, যাতে ভাইভাটা সবদিক থেকে সাফল্যমন্ডিত হয়। নিজেকে যথাসম্ভব সংযত রেখে ধীরস্থির ভাবে প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। নিজেকে প্রকাশ করতে হবে সাবলীলভাবে। ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ, বসা, উত্তর দেয়া এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় প্রার্থীর আচরণ ও কথোপকথন দ্বারা নির্ধারিত হয় প্রার্থীর সফলতা বা ব্যর্থতা। সুতরাং ভাইভা বোর্ডে যথার্থ আচরণই আপনাকে দিতে পারে কাক্সিক্ষত সফলতা। এ সংক্রান্ত কিছু টিপ্স জানাচ্ছেন পল্লব মুনতাকা।

১. অনুমতি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে সালাম জানাতে হবে। পরীক্ষকগণ বসতে বললে বসতে হবে এবং বসতে না বললে একটু অপেক্ষা করে অনুমতি নিয়ে বসতে হবে। অনুমতি ব্যতীত বসা যাবে না। অনুমতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধন্যবাদ জানাতে হবে। সোজা হয়ে বসবেন, পায়ের উপর পা তুলে অথবা পা দুটো আড়াআড়ি করে বসা যাবে না। হাত দুটো টেবিলের উপরে রাখা যাবে না। ভাইভা যারা নিবেন তাদের দিকে সোজাসুজি তাকাবেন, মাটির দিকে বা ঘরের কোণ বা ছাদের দিকে তাকাবেন না।
২. একজন প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় অন্যদের দিকে তাকাতেও ভুলবেন না। অতি সুকৌশলে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং উত্তম গুণাবলী ও জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে পরীক্ষকগণকে ধারনা প্রদানের চেষ্টা করুন।
৩. মনোযোগ দিয়ে প্রথমে প্রশ্নটি শুনুন ও বোঝার চেষ্টা করুন। প্রথমবারে যদি প্রশ্নটি বুঝতে না পারেন তবে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আর একবার প্রশ্নটি করতে বলুন।
৪. উত্তর দেয়ার সময় প্রত্যেকটি শব্দ স্পষ্ট করে এমনভাবে উচ্চারণ করুন যেন সবাই শুনতে পায় এবং খেয়াল রাখুন উত্তরের সাথে যেন আপনার আত্মবিশ¡াস প্রতিফলিত হয়। সময় নষ্ট না করে উত্তর দিন। জানা না থাকলে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত বলুন, দুঃখিত আমার জানা নেই। অগোছালো ভাবে এদিক সেদিক না ঘুরিয়ে যথাযথ উত্তর দিতে হবে। যুক্তির সাথে বক্তব্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
৫. আচরণে কোন প্রকার জড়তা রাখা যাবে না। গোমরা মুখে থাকবেন না। মুখে হাসি হাসি ভাব রাখুন। ভাইভা যারা নিচ্ছেন তাদের সঙ্গে কোন ধরণের তর্কে জড়াবেন না। নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধ মত জানানোর আগে বিনয়ের সাথে বলবেন- মাফ করবেন বা কিছু মনে করবেন না বলে নিন। কর্কশভাবে প্রশ্নের উত্তর দিবেন না। উঁচু গলায় প্রশ্ন এলেও উচু গলায় উত্তর দেয়া যাবে না। স¡াভাবিক স¡রে উত্তর দিন।
৬. মুদ্রাদোষগুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন থাকুন। গোঁফে হাত বোলানো, চুল ঠিক করা, নাক চুলকানো, টাই ঠিক করা, গলা দিয়ে শব্দ করা বা জামা কাপড় ঠিক করবেন না। নিজে নিজে হ্যান্ডশেক করার জন্য আগে হাত বাড়াবেন না। নিয়োগকর্তাগণ যদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়ান তাহলে মোলায়েমভাবে করমর্দন করুন।
৭. আবেগ তাড়িত হয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দিবেন না। উত্তর দেয়ার সময় খেয়াল রাখবেন, যেন কোন ব্যক্তি, সম্প্রদায়, জাতি, ধর্ম বা রাষ্ট্র সম্পর্কে কোন প্রকার অবমাননাকর বা অপ্রীতিকর কথা বেরিয়ে না যায়।
৮. কোন বিষয়ে অজুহাত না দেখিয়ে এবং কোন তথ্য সম্পর্কে ছলনার আশ্রয় না নিয়ে সততার পরিচয় দিন।
৯. নিজেকে উপস্থাপন করুন আকর্ষণীয়ভাবে। যেভাবে কোন পণ্যের দক্ষ বিক্রেতা করে থাকেন।
১০. পরিশেষে বিদায় নেবার সময় সবাইকে ধন্যবাদ দেয়ার পর, সালাম দিয়ে বিদায় নিন।

স্মরণশক্তি বাড়াবেন যেভাবে

আপনি ছাত্র, চাকুরিজীবী, বেকার বা যে কেউই হোন না কেন আপনাকে প্রতিনিয়ত স্মরণশক্তির পরীক্ষা brainদিতে হয়। বাজারের লিস্ট মনে রাখা, প্রশ্নের পয়েন্ট মনে রাখা, মুখে মুখে হিসাব করা, রাসায়নিক নাম মুখস্থ রাখা এইসব তার কয়েকটি মাত্র। অনেকে আবার স্মৃতিশক্তিকে বয়সের মাপকাঠি হিসেবেও মানেন। কিন্তু সমস্যা হলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যেতে থাকে, ফলে নিজেকে অসহায় ও দুর্বল মনে হয়, আত্মবিশ্বাস লোপ পায়। এটি একজন ছাত্রের কিংবা একজন বৃদ্ধের জন্য স্থায়ী বিষন্নতা বয়ে আনতে পারে। তাই এ বিষয়ে কারেন্ট ইস্যুর পাঠকদের জন্য কিছু টিপ্স নিচে দেয়া হলো। লেখাটি সম্পাদনা করেছেন আহমাদ মাহদী

ব্রেইনকে বেশি বেশি কাজে লাগান

আপনার স্মরণশক্তি কমবে না, যদি আপনি ব্রেইনের এক্সারসাইজ করেন। ব্রেইন একটি মাসলের মতো। তাই যতই একে খাটাবেন ততই এর ক্ষমতা বাড়বে। আপনি নিশ্চয়ই টিভি দেখেন। টিভিতে কোন্ অনুষ্ঠান কখন দেখানো হবে সেটা মনে রাখতে পারেন। অল্প অল্প করে শুরু করুন, কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার স্মরণশক্তিকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। শুধু কি টিভি দেখা? আরো অনেক কিছুই আছে যাতে ব্রেইনের এক্সারসাইজ হয়:
< শব্দের বিভিন্ন খেলা বেশিরভাগ খবরের কাগজে প্রতিদিনই ছাপা হয়, সেগুলো নিয়মিত খেলুন। যে শব্দগুলো পারলেন না সেগুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন।
< আলাপচারিতা, দলীয় প্রচেষ্টা (teamwork) করতে পারলে ভাল। এটি পরীক্ষিত, যারা বেশি যোগাযোগ (social contact) বজায় রাখেন, তারা স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় ভাল করেন।
< বহির্বিশ্বের খোঁজখবর রাখুন। খবরের কাগজ পড়তে পারেন, সাধারণ জ্ঞানের বইও উপকারী।
< বিদেশী কোনো ভাষা শিখতে পারেন।
< পাঠ্যবই ও পাঠ্যবইয়ের বাইরে পড়াশোনা করলে ভাল।
< নতুন কোনো কাজ শিখতে পারেন।
< কোনো শখের কাজ (hobby) করা যেতে পারে। যেমন: ছবি আঁকা, বাগান করা, সাইকেল চড়া অথবা এমন কোনো কিছু যাতে ব্রেইন, চোখ ও হাতের সহযোগিতা লাগে।
< ক্যারিয়ার বদল করা অথবা নতুন ক্যারিয়ারে যোগ দেয়া যেতে পারে।
< সেচ্ছাসেবী (volunteer) হিসেবে কাজ করতে পারেন।
< ক্যালকুলেটর ছাড়া হিসাব করার চেষ্টা করুন, নিজে ডিকশনারী ঘেটে শব্দার্থ বের করুন।
< বাজারের লিস্ট মনে রাখার চেষ্টা করুন।
< এমন কিছু করুন যা চিন্তাকে প্রসারিত করে।

বয়স কোনো ব্যাপারই না!

আপনার বয়স কত? একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে ৭৫টি শব্দ পাঁচবার বলার পর; ১৮ বছর বয়স্করা ৫৪টি, ৪৫ বছর বয়স্করা ৪৭টি এবং ৬৫ বছর বয়স্করা ৩৭টি শব্দ মনে রাখতে পেরেছে। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের স্মরণশক্তি কমে যায়। বয়স বেশি হলে আমাদের ব্রেইন সেলগুলো মরে যেতে থাকে। তবে এর কারণে স্মৃতিশক্তির খুব একটা ক্ষতি হয় না, ক্ষতি হয় মনোযোগের এবং ইচ্ছার অভাবে। পরীক্ষাটিতেও তাই হয়েছে। তাই বয়সের দোহাই না দিয়ে মনোযোগ সহকারে বিভিন্ন জিনিস মনে রাখার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, বয়স বাড়লেই স্মরণশক্তি কমবে, এটি সত্য নয়।

কায়িক পরিশ্রম করুন

< স্বেচ্ছায় শ্রমের অভ্যাস করুন, নিয়মিত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট। আপনাকে কাহিল হতে হবে এমন কোন কথা নেই, সাধারণ যে কোনো ধরনের সচল ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম করলে শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গে এবং ব্রেইনেও রক্ত চলাচল (blood circulation) বৃদ্ধি পাবে। এতে করে ব্রেইন সেল বৃদ্ধি পাবে। আর তাছাড়া আপনি সুস্থ, সতেজ ও energetic বোধ করবেন। সবসময়ই physically active থাকার চেষ্টা করুন। নিয়মিত হাঁটা একটা ভাল ব্যায়াম হতে পারে। আপনি যদি হাঁটতে পছন্দ না করেন আপনার পছন্দের যে কোনো পরিশ্রমও করতে পারেন।
< লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
< অল্প পথ যানবাহনে না চড়ে হাঁটার অভ্যাস করুন।
< বাগান করতে পারেন।
< সাইকেল চড়তে পারেন।
< টিভি দেখার সময় হালকা কোনো ব্যায়াম করতে পারেন।
< যে কোনো খেলা, যেমন: ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদিতে অংশ নিতে পারেন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

এর মানে এই নয় যে দামি দামি সব খাবার খেতে হবে। খাবার তালিকায় শাকসবজি ও ফলমূল রাখুন। এসবে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার শরীরের কলেস্টেরল কমিয়ে ব্রেইন ও অন্যান্য অঙ্গ- প্রত্যঙ্গে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল নিশ্চিত করে। রঙিন ফল, শাকসবজি যেমন: কমলা, আঙ্গুর, কলা, পাকা পেঁপে, ফুলকপি, শাক, গাজর, মিষ্টি আলু, টমেটো ইত্যাদি বেশি বেশি খান। এছাড়াও-
< ভিটামিন এ, সি ও ই স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
< তেলযুক্ত (ওমেগা-৩) মাছ ব্রেইনের নার্ভাস সিস্টেমের জন্য দারুন উপকারী।
< ব্রেইনে যত বেশি nutrients ও oxygen পৌছাবে ততই ভালো।

অ্যালকোহল, খারাপ নেশা ও ধূমপান থেকে দূরে থাকুন

অ্যালকোহল, খারাপ নেশা ও ধূমপান থেকে দূরে থাকুন । এগুলো থেকে সামান্যতম উপকারও পাওয়া যায় না। তাই এসব থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। ধূমপান একটি কমন ব্যাধি। ধূমপান ছাড়তে হলে শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন দশ বছরেরও বেশি সময় ধূমপান করেছেন। অথচ তিনি একদিন ঠিক করলেন আজ থেকে ধূমপান করবেন না, আর সেদিন থেকেই তিনি আর কখনো ধূমপান করেন নি। ধূমপায়ী হয়ে থাকলে আপনিও পারেন ইচ্ছাশক্তির পরীক্ষা দিয়ে ধূমপান ছাড়তে। টাকা দিয়ে বিষ কিনে লাভ কি বলুন?

দুশ্চিন্তা ছাড়ুন

দুশ্চিন্তা করলে স্মৃতি রক্ষা করার প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। তাই সুযোগ পেলে রিল্যাক্স করুন, গভীর শ্বাস নিন। বেশি দুশ্চিন্তা থাকলে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজুন। যেমন: জীবনকে সহজতর করা, কিছু কাজ কমিয়ে আনা, ব্যায়াম করা ইত্যাদি। আপনি এক্ষেত্রে যোগব্যায়াম বা ণড়মধ করে বিশেষ উপকার পেতে পারেন। ভারতীয় এই ব্যায়াম পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যোগব্যায়াম রিল্যাক্সেশনের জন্য খুবই উপকারী।

মাথায় যেন আঘাত না লাগে

ব্যায়াম খেলাধুলার অনেক কথাই তো বলা হলো। কিন্তু এসবের মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে- মাথায় আঘাত লাগতে পারে এমন কাজ যেন এড়িয়ে চলা হয়। মাথায় আঘাত লাগলে আপনার স্মরণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সবশেষে ডাক্তার

আপনার স্মরণশক্তি যদি কোনভাবেই স্বাভাবিক না হয় তাহলে ডাক্তার দেখান। তিনি আপনাকে পরীক্ষা করে ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল লেভেল, ব্লাড সুগার লেভেল ইত্যাদি দেখে সাজেশন্স দিতে পারেন।

কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করবেন যেভাবে

যখন আপনি কোনো চাকরি শুরু করেন আর পকেটে টাকা আসতে শুরু করে তখন ভাবতে ইচ্ছা করে এখন educationআর লেখাপড়া করে কি হবে। এই বয়সে কলেজ, ভার্সিটি আমাকে মানায় না। কিন্তু এই কয় টাকার সুখ অল্পদিনের। এই সুখকে দীর্ঘায়িত করতে লেখাপড়ার প্রয়োজন অনেক। অন্তত ক্যারিয়ারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দরকারি লেখাপড়াটা শেষ করা উচিত। কিন্তু অনেকে এই ব্যাপারটা বুঝলেও জীবন-সংসারের চাপের কারণে লেখাপড়াটা চাকরির সাথে সাথে চালিয়ে যেতে চান না। এ ব্যাপারে আমার নোটস অবলম্বনে কারেন্ট ইস্যু ক্যারিয়ার বিভাগের বিশেষ আয়োজন।

সিলেবাসকে ভাগ করুন

আপনার সিলেবাসটা পাওয়ার পরপরই একে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহ বা দিনে কতটুকু আপনি কভার করবেন সেটারও একটা সিডিউল তৈরি করুন। ঠিক করুন প্রতিদিন এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো টপিক আপনি শেষ করবেন। আর আপনার এই প?্যান পরিকল্পনার কথা আশেপাশের মানুষদেরকে জানিয়ে রাখুন, এতে আপনারই লাভ হবে। ক্যালেন্ডারে হিসাব রাখুন প্রতিদিন কতটুকু পড়লেন। এই যে আপনি ছোট ছোট অংশ শেষ করতে থাকলেন এতে কিন্তু আপনি সাফল্যের একটা স্বাদ পাবেন। আবার ‘পরীক্ষার পূর্বরাত্রির’ টেনশন থেকেও মুক্তি পাবেন।

নোট কার্ড, পয়েন্টস সঙ্গে রাখুন

আপনার সঙ্গে সবসময় চিরকুট, বইয়ের পৃষ্ঠার ফটোকপি বা সহজে বহনযোগ্য কোনো কাগজে লেখা ম্যাটারিয়াল রাখুন। যখন অফিসে চুপচাপ বসে আছেন, কাজ নেই তখন একটু সেগুলো দেখলেন। কোথাও অপেক্ষা করতে হবে, চট করে কিছু বিষয় রিভিউ করে নিলেন। তবে এই ‘চোথাপত্র’ পরীক্ষার হলে নেবেন না কিন্তু!

মাল্টিটাস্কিং করুন

একই সাথে দুই কাজ করুন। কথাটা যত কঠিন মনে হয় আসলে ততটা নয়। একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন আপনি প্রতিদিন ভ্রমণ করেন। তখন নিজের কাছে রাখা চোথাপত্রগুলো একটু রিভিউ করলেন। বা রান্না করছেন, কোনো বইয়ের অডিও সিডি চালিয়ে নিলেন। বাজারে এরকম সিডি না পেলে নিজেই রিডিং পড়ে রেকর্ড করে পরে শুনে নিতে পারেন। অনেকে আবার বাথরুমেও লেখাপড়া করেন, তবে এটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছে! আপনি নিজেই অবাক হবেন, মাল্টিটাস্কিং করার জন্য আপনি কতরকম সুযোগ পাচ্ছেন।

প্রতিদিন অন্তত একটি কুরবানি করুন

এর মানে গরু-ছাগল কুরবানি নয়, স্যাক্রিফাইস। যেমন- একদিন টিভি একটু কম দেখলেন। এটা একটা ছোট স্যাক্রিফাইস। এখন এতটুকু করতে না পারলে সামনে অনেক বড় স্যাক্রিফাইস করতে হতে পারে। সুতরাং আগে থেকেই সাবধান হোন।

প্রস্তুতি শেষ হয়নি? তাতে কি!

এতকিছুর পরও হয়তো দেখবেন পরীক্ষার এক সপ্তাহ বাকি অথচ আপনার প্রস্তুতি পূর্ণ হয়নি। এতে ঘাবড়াবেন না। আপনার বেশিরভাগ সিলেবাসই এর মধ্যে কভার হয়ে যাবার কথা, তাতে সাহস পাবেন। আর বাকিটুকু মনোযোগ বাড়িয়ে কভার করার চেষ্টা করুন। পরীক্ষার আগের দিন অফিস থেকে ছুটি নিন। আপনার প্রস্তুতি ভাল বা খারাপ যা-ই হোক না কেন এটার প্রয়োজন আছে। স্ট্রেস কমাতে এটি খুবই সহায়ক। তাছাড়া এতে মাথা ক্লিয়ার করার সুযোগ পাবেন, কিছু টপিক বেশি রিভাইস দেওয়ার সুযোগও পাবেন।

পরীক্ষা দিন কন্ফিডেন্সের সাথে

পরীক্ষায় এমন হতে পারে সবকিছুই আপনি পারেন, দুয়েকটা জিনিস বাদে। যা পারেন তা আগে দিন, ভালোভাবে দিন। বাকিগুলো যতটুকু জানেন দিয়ে আসুন। দেখবেন আপনি অন্যদের চেয়ে ভাল করেছেন। কিছু কিছু দিন খারাপ যেতে পারে, কিন্তু নিরাশ হবার কিছু নেই। মোটের ওপর প্রস্তুতি আপনার ভাল, তাই দুশ্চিন্তা করবেন না। যদি লেখাপড়ায় মনোযোগ না আসে তাহলে সকালে ওঠার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস রাখুন, আপনাকে দিয়েই হবে।

রাশিয়া সরকারের বৃত্তি

রাশিয়া সরকার প্রদত্ত স্কলারশিপ ২০০৯-২০১০-এর জন্য বাংলাদেশি আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
বৃত্তির সংখ্যাঃ স্মাতক পর্যায়ে ২০টি এবং স্মাতকোত্তর পর্যায়ে পাঁচটি।
আবেদনের যোগ্যতাঃ স্মাতকের জন্য প্রার্থীদের ন্যূনতম এইচএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং পড়তে আগ্রহী বিষয়ে শতকরা ৮০-এর বেশি নম্বর থাকতে হবে। তিন বছরের মধ্যে পাসকৃত হতে হবে এবং বয়স অনূর্ধ্ব ২৫ বছর হতে হবে। স্মাতকোত্তর পড়তে আগ্রহীদের অবশ্যই মাস্টার ডিগ্রিধারী ও প্র্যাকটিস সার্ভিসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বয়স হতে হবে অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর।
প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১· নির্ধারিত আবেদনপত্র যা বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২· শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদপত্র (মার্কশিট ও সার্টিফিকেট কপি অবশ্যই সত্যায়িত)।
৩· যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৪· এইডস টেস্ট সার্টিফিকেট। ৫· জন্মনিবন্ধন সনদ সত্যায়িত।
৬· পাসপোর্টের ফটোকপি। ৭· আট কপি ছবি (৪৬x সেমি)।
৮· স্মাতকোত্তর পর্যায়ে পড়তে আগ্রহীদের পাবলিকেশন তালিকা এবং গবেষণার সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠায় সারসংক্ষেপ।
আবেদনের শেষ তারিখঃ ৮ এপ্রিল ২০০৯।
আবেদন ফরম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে
www.moedu.gou.bd
আবেদনের ঠিকানাঃ নাহারিন চৌধুরী, উপসচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। ফোনঃ ৭১৬৭৯০৯

জাপান-বিশ্বব্যাংক বৃত্তি

যৌথভাবে জাপান ও বিশ্বব্যাংক গ্রাজুয়েট পর্যায়ে বৃত্তি প্রদানের জন্য আগ্রহী প্রর্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে।
যোগ্যতাঃ আবেদনকারীর জন্ম অবশ্যই ০১ এপ্রিল ১৯৬৯-এর আগে হতে হবে। ৩১ মার্চ ২০০৯-এর মধ্যে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ডিগ্রি গ্রহণের পর তাঁর নিজের দেশে প্রার্থীর সাম্প্রতিক দুই বছরের পূর্ণকালীন চাকরি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা কোনো উন্নয়নশীল দেশে। প্রার্থীর ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হবে অথবা এর সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। সৎচরিত্রের অধিকারী ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। প্রার্থী কোনো শিল্পোন্নত দেশের স্থায়ী বাসিন্দা অথবা ওই দেশের নাগরিক হতে পারবেন না। কোনো শিল্পোন্নত দেশে এক বছরের বেশি বসবাস করতে পারবেন না। বিশ্বব্যাংকের সব সংস্থার সঙ্গে জড়িত সব কর্মচারী-কর্মকর্তা এ বৃত্তির আওতার বাইরে থাকবেন।
আবেদনপত্র গ্রহণঃ আবেদনপত্র আগামী ৩১-০৩-০৯ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছাতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়াঃ আবেদনপত্র, যোগ্যতার যাবতীয় তথ্য এবং আবেদন প্রক্রিয়া এবং যাবতীয় তথ্য বিশ্বব্যাংকের বৃত্তি প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবের ঠিকানা- www.worldbank.org/scholarships

এস এস সি ও দাখিল পরীক্ষার অবসরে

শিক্ষার্থী বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিও। তোমরা যারা মাত্র এস এস সি ও দাখিল পরীক্ষা শেষ করেছো নিশ্চয়ই ভাবছো কী করবে পরীক্ষা পরবর্তী এ অবসর সময়ে। কঠিন প্রতিযোগিতার বিশ্বে তোমাদের অবস্থান। জীবন সিঁড়ির মাত্র প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে যাচ্ছ। সামনে রয়েছে অনেক পথ, অনেক বাঁধা। এ পথ মাড়িয়ে প্রতিযোগিতার বিশ্বে টিকে থাকতে প্রস্তুতির সময় এখনই। এ অবসর সময়ই হোক তোমাদের সময়োপযোগী প্রস্তুতির সিঁড়ি। এ ব্যাপারে তোমাদেরকে জানাচ্ছেন এস এম মাহফুজ

কম্পিউটার শিক্ষা

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে কম্পিউটার শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সর্বক্ষেত্রে ব্যবহৃত এ কম্পিউটার computer-trainingতোমাকে নিয়ে যাবে অনেক দূরে। সুতরাং ভর্তি হতে পারো কম্পিউটারের নানা ধরনের কোর্সে।
মেয়াদ ও ফি: ৩ মাস হতে ১ বছর। কোর্স ফি প্রতিষ্ঠানভেদে ৫০০ টাকা হতে ৩০০০ টাকা ।
কোথায় শিখবে:

  • যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের প্রধান প্রধান জেলা শহরে।
  • জেলা ভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (১০টি)। জাতীয় মহিলা সংস্থা।
  • ৬ বিভাগীয় শহর এবং বগুড়া, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর।
  • এ ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে জেলা ও উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।

ভাষা শিক্ষা

প্রথমেই মাতৃভাষা বাংলার কথা বলছি। মাতৃভাষা বাংলায় কতজন সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে পার পরীক্ষা করেই দেখ না? না পারলে বাংলা ভাষাকে অবহেলা করা যাবে না। এবার আসি ইংরেজি ভাষার বিষয়ে। ইংরেজির গুরুত্ব তোমাদের কাছে স্পষ্ট। জীবনের পরবর্তী প্রতিটি ধাপে ইংরেজি তোমাদের সহযোগিতা করবে। আন্তর্জাতিক এ ভাষাটি শিক্ষা আবশ্যক। পাশাপাশি আরবি, জাপানি, জার্মানি ইত্যাদি ভাষাও শিখলে ক্ষতি নেই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
মেয়াদ ও ফি : ১ মাস হতে ১ বছর। কোর্স ফি ৫০০ টাকা হতে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।
কোথায় শিখবে:

  • আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
  • ব্রিটিশ কাউন্সিল, ৫ ফুলার রোড, ঢাকা
  • এ ছাড়াও আছে- ক্যারিয়ার এইড, সিডিসি, সাইফুর’স, এফ এম মেথড-এর মত খ্যাতনামা ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
  • বাংলা ভাষার জন্যেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কোর্স রয়েছে।

কল সেন্টার প্রশিক্ষণ কোর্স

বিজ্ঞানের আশীর্বাদে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন পেশা। কল সেন্টার ঠিক তেমনি একটি নতুন পেশা। কল সেন্টারের জন্য গোটা বাংলাদেশেই জনশক্তি প্রয়োজন। বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার পদ খালি রয়েছে। এই অবসরে প্রশিক্ষণ নিয়ে তুমিও হতে পারো কল সেন্টারের একজন দক্ষ কর্মী। বর্তমানে দেশে কল সেন্টারের জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তোমার আগ্রহ থাকলে, ভর্তি হতে পারো এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো একটিতে।
কোথায় শিখবে:

  • বাংলাদেশ প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, বিপিটিআই ক্যাম্পাস, হাউজ # ৩৩৫, লেন # ২৩, ডিওএইচএস, মহাখালি, ঢাকা
  • ইনস্টিটিউট অব কল সেন্টার টেকনোলজি, আইসিসিটি, ১৩-বি, সেন্টার পয়েন্ট কনকর্ড, তেজকুনি পাড়া, ফার্মগেট, ঢাকা
  • ইমাম নেটওয়ার্ক, ৬২-৬৩, মতিঝিল, বা/এ, ঢাকা

গার্মেন্টস বায়িং এন্ড মার্চেন্ডাইজিং কোর্স

আমাদের দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহ ভাগই আসে পোশাক শিল্প থেকে। বাংলাদেশের সেলাইয়ের মান, কাটিং ও মেকিং ইত্যাদির মান অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো থাকায় পোশাক শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বহু আগে থেকেই চিহ্নিত হয়ে আসছে।
দেশের চাহিদা এবং বিদেশে রপ্তানির হার দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে এর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
মেয়াদ ও ফি: ৩ মাস-১ বছর। কোর্স ফি ৩০০০-১০,০০০ টাকা।
কোথায় শিখবে:

  • অ্যাপারেল ম্যর্চেন্ডাইজিং ওয়ার্ক স্টাডি, প্যাটার্ন ম্যাকিং, বাড়ি-৫, সড়ক-৮, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
  • বাংলাদেশ জার্মান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬
  • বাংলাদেশ অ্যাপারেলস ইনস্টিটিউট, বাড়ি-৪১১, রোড-২৯ মহাখালী, ঢাকা

ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্স

মানুষ সৌন্দর্যপ্রিয়। সেই আকাক্সক্ষা থেকেই সৃজনশীল পেশা ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং এর জন্ম। মানুষের রুচির পরিবর্তন ও সৌন্দর্যপ্রিয়তার সূত্র ধরেই বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ধীরে ধীরে বিস্তৃতি লাভ করে। তাই চাইলেই সহজে করতে পার এ কোর্স।
মেয়াদ ও ফি: ৩ মাস-১ বছর। কোর্স ফি ৩০০০ টাকা-১২,০০০ টাকা।
কোথায় শিখবে:

  • এক্সটেরিয়র-ইন্টেরিয়র প্রাইভেট লিমিটেড, বাড়ি-৯৯, সড়ক ১১/এ, ধামমন্ডি আবাসিক এলাকা ঢাকা-১২০৯। ফোন ০২-৯১৪৫৯০৫
  • ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশান ডিজাইন, ৪১, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা
  • বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আর্ট ডিজাইন এ্যান্ড টেকনোলজি, ৫/৪, ব্লক-সি, লালমাটিয়া ঢাকা

মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স

যোগাযোগের একটি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা ও চাহিদার নিরিখে মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিঃসন্দেহে একটি বাস্তবধর্মী বিষয়। তাই বর্তমান সময়ে মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
মেয়াদ ও ফি: ২ মাস থেকে ১ বছর। কোর্স ফি ২৫০০-১০,০০০ টাকা।
কোথায় শিখবে:

  • গ্রামীণ স্টার এডুকেশন, গ্রামীণ ব্যাংক, মিরপুর-২, ঢাকা
  • জাতীয় যুব উন্নয়ন একাডেমি, সিদ্ধেশ্বরী রোড, মালিবাগ মোড়, ঢাকা
  • গ্লোবাল স্টার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা

সাংবাদিকতা ও সংবাদ উপস্থাপনা কোর্স

সাংবাদিকতা বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় চ্যালেঞ্জিং ও আকর্ষণীয় পেশা। আমাদের দেশেও দিন দিন anchorজনপ্রিয় হচ্ছে পেশাটি। আসছে নতুন পত্রিকা, নতুন চ্যানেল। চ্যানেলে সাংবাদিকতার পাশাপাশি রয়েছে সংবাদ উপস্থাপনার বিষয়। এজন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। যাদের মিডিয়ায় ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ আছে তারা এখনি করতে পারো এই কোর্সটি।
মেয়াদ ও ফি : ১ মাস হতে ৬ মাস। ফি ২০০০ টাকা হতে ১০,০০০ টাকা।
কোথায় শিখবে:

  • বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্টাডিজ এন্ড পাবলিক রিলেশন্স, ২৫৭/৮, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
  • সেন্টার ফর এডভান্স মিডিয়া, বাংলা মটর মোড়, ঢাকা
  • জবস এ ওয়ান ডটকম, বসুন্ধরা সিটি (বেইজ-১), পান্থপথ, ঢাকা

হোটেল ট্যুরিজম কোর্স

বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশেই পর্যটক স্পটগুলোতে পর্যটকদের উপস্থিতির হার দিন দিন বাড়ছে। পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে রেস্টুরেন্ট, বিমান সংস্থা, হোটেল, মোটেল, ট্যুরিস্ট গাইড ইত্যাদি। এ সুবাদেই বাড়ছে হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও ট্যুরিজমে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা। বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। ফলে প্রতি বছর প্রচুর লোক বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
মেয়াদ ও ফি: ২ মাস হতে ১ বছর। কোর্স ফি ২০০০ টাকা হতে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
কোথায় শিখবে:

  • হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং, ৮৯/৩, ভিআইপি রোড, কাকরাইল, ঢাকা। ফোন- ০২-৮৩২২৪২৬
  • বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, ৮৩-৮৮, মহাখালী, ঢাকা
  • বাংলাদেশ হোটেল এ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা

আলোকচিত্র

অনেকেই শখের বশে আলোকচিত্রী হতে চায়। শখ থেকেই এটি হতে পারে পেশা। তবে এ জন্য নিজের মধ্যে সৃজনশীলতা থাকতে হবে। আলোকচিত্র শেখার জন্য উপযুক্ত সময় হতে পারে এসএসসি পরীক্ষা শেষের সময়গুলো। এই সময় কাজে লাগিয়ে অনেকেই ভালো আলোকচিত্রী হয়ে উঠতে পারে। আর বিষয়টি ভালো জানা থাকলে চর্চার মাধ্যমে একসময় একে পেশা হিসেবেও নেয়া যাবে।

ভিডিওচিত্র

আলোকচিত্রের পাশাপাশি ভিডিওচিত্রের দিকেও তরুণ প্রজন্মের অনেকের আগ্রহ। অনেকেই এটিকে পেশা vedioহিসেবে নিতে আগ্রহী। এ বিষয়টি ভালো জানলে কাজ জুটিয়ে নেয়া খুবই সহজ। এ বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এ রকম কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় অনেক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলো এ বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন ভিডিও চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করা যায়। এবিষয়ে আগ্রহ থাকলে এসএসসি পরীক্ষা শেষে এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ নেওয়াটা ভালো হবে।

এছাড়াও ব্লক বাটিক প্রশিক্ষণ কোর্স, সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্স, ক্রিস্টাল ও মোম প্রশিক্ষণ কোর্স, চিত্রাঙ্কন প্রশিক্ষণ কোর্স, কারুশিল্প প্রশিক্ষণ কোর্স ইত্যাদি বাস্তবধর্মী কোর্স রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারো।

ব্যবস্থাপনা

ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ কোর্স চাকরিজীবী ও চাকরিপ্রার্থী-উভয়েরই কাজে লাগে। এসএসসি পরীক্ষার পর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েও নিজের যোগ্যতা বাড়ানো যায়। এটি ভবিষ্যৎ কর্মজীবন এমনকি উচ্চমাধ্যমিকেও কাজে লাগবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এফেকটিভ হিউম্যান রিলেশনস ফর বেটার ম্যানেজমেন্ট, কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন ফর ম্যানেজমেন্ট, প্ল্যানিং অ্যান্ড কন্ট্রোলসহ ব্যবস্থাপনার ওপর বেশ কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তবে সব প্রশিক্ষণই এসএসসি পরীক্ষার পর নেওয়া যায় না। তাই খোঁজখবর রাখতে হবে।

হোটেল ও পর্যটন

হোটেল ও পর্যটনে যারা ভবিষ্যতে পেশাজীবন গড়তে আগ্রহী, তারা এসএসসি পরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে কোনো স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে পারে। বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান মো. আবদুল আউয়াল সরকার জানান, এসএসসি পরীক্ষার পরও হোটেল ও পর্যটনের ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এসব কোর্স সাধারণত ১৮ সপ্তাহের। এয়ার ট্রাভেল অ্যান্ড এজেন্সি অপারেশন, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রডাকশন, ফ্রন্ট অফিস অপারেশন, হাউস কিপিং, বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি-এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানই হোটেল ও পর্যটন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কোর্স করিয়ে থাকে।

সৃজনশীল প্রশিক্ষণ

এসএসসি পরীক্ষার পর শুদ্ধ উচ্চারণ, স্বর ও বাচনরীতি, আবৃত্তি, উপস্থাপনা ইত্যাদি সৃজনশীল বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েও নিজের দক্ষতা বাড়ানো যায়। এসব বিষয় নিজেকে চৌকস করতে সহায়তা করবে। প্রশিক্ষণ কোর্সগুলো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগে। শাহবাগের বাংলার মুখ সোসাইটির ফ্যাকাল্টি অব পারফর্মিং আর্টস এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রকে (টিএসসি) ঘিরে রয়েছে এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর অনেক স্থানেই উপস্থাপনা, আবৃত্তি, উচ্চারণ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন হয়ে থাকে। এ সময় এসব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে এসব কোর্স করে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো যায়। তেমনি পেশাজীবনেও এসব কাজে লাগবে।

গ্রাফিক্স

বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের বেশ চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়টি জানা থাকলে নিজেকে ভবিষ্যতের graphicচাকরির বাজারের জন্য এগিয়ে রাখা যায়। তাই এসএসসি পরীক্ষা শেষে অবসর সময়টি কাজে লাগাতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর কোনো প্রশিক্ষণ কোর্স করে রাখতে পারো। কম্পিউটারনির্ভর গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন কোর্স, যেমন-অ্যাডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, কোয়ার্ক এক্সপ্রেস শিখে পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ও করা যাবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের এসব প্রশিক্ষণ প্রাত্যহিক জীবনেও অনেক কাজে লাগবে। দেশের অনেক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর প্রশিক্ষণ কোর্স করিয়ে থাকে। যে কোনো একটি ভালো মানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে এসব কোর্স করে রাখতে পারো।

আরও আছে অনেক কিছু

এসএসসি পরীক্ষার পর কারিগরি প্রশিক্ষণও নেয়া যেতে পারে। ইলেকট্রনিকস বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিলে ভবিষ্যতের জন্য দারুণ এক সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। মোবাইল ফোন মেরামতটাও শেখা যেতে পারে এ সময়ে। এছাড়া কেউ চাইলে মোটরগাড়ি মেরামতসহ বিভিন্ন ট্রেড কোর্সও করতে পারে।
এসএসসির পর প্রশিক্ষণ নেয়া মানেই কিন্তু চাকরি বা পেশাজীবনের শুরু নয়। উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক-উচ্চশিক্ষা শেষে যে পেশাজীবনের শুরু হবে তার জন্য কিছু পুঁজি সঞ্চয় করা যাবে এসএসসি পরীক্ষার পর এসব প্রশিক্ষণ নিয়ে।

সাংবাদিকতায় গড়ুন ক্যারিয়ার

এস এম মাহফুজ

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েছে মানুষের মনমানসিকতার। সময় সচেতন মানুষ সময়োপযোগী পেশা বেছে নিতে অনেক তৎপর। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম পছন্দের। কারণ সাংবাদিকতার মাঠ এখন অনেক বিস্তৃত। একটা সময় ছিল যখন সাংবাদিকতা শুধু খবরের কাগজের গণ্ডির মধ্যেই আবদ্ধ ছিল। বর্তমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকতা তার আগের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এখন খবরের কাগজের স্থান কিছুটা হলেও দখল করে নিয়েছে টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেলগুলো। অবশ্য তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় খবরের কাগজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন এডিশন বের করছে। পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি সাংবাদিকতার সুযোগ রয়েছে রেডিওতেও। এখানে রয়েছে অনেক সম্মান। সম্মানীও কম নয়। সৃজনশীল ব্যক্তিরা টিকে থাকতে পারেন এ পেশাতে।

সাংবাদিকতার ক্ষেত্রসমূহ

সংবাদপত্র :

সাংবাদিকতার প্রধান ক্ষেত্র সংবাদপত্র। দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংবাদপত্র। বাড়ছে সাংবাদিকের চাহিদা। দৈনিক, newspapersসাপ্তাহিক, মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিক সংবাদপত্রের সংখ্যা অগুনিত। এ সংবাদপত্র আবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ছাড়াও রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে। অনেকে মনে করছেন টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল বৃদ্ধির সাথে সাথে সংবাদপত্রের গুরুত্ব লোপ পেতে পারে। আসলে এটা ঠিক নয়। সংবাদের গ্রহণযোগ্যতা ও পেছনের ভূমিকা উপস্থাপন এবং সংবাদের পেছনের সংবাদ খুঁজতে সংবাদপত্রের বিকল্প নেই। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সংবাদপত্রই উৎকৃষ্ট স্থান। সংবাদপত্রে যারা কাজ করেন তারা হলেন সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, নগর ও বার্তা সম্পাদক, সিনিয়র রিপোর্টার, বৈদেশিক সংবাদদাতা, মফস্বল সংবাদদাতা, সাব এডিটর, ক্রীড়া সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিক, চীফ মেক আপমেন এবং গ্রুফ রিডার।

টেলিভিশন :

সাংবাদিকতার অন্যতম ক্ষেত্র হলো টেলিভিশন বা চ্যানেল। টিভি বা চ্যানেল সাংবাদিক হওয়ার মাধ্যমে স্টার হওয়া সম্ভব। 1214307046662_electronic-mediaটিভি সাংবাদিকতা আর সংবাদপত্রের সাংবাদিকতার মুল কাজ এক হলেও টিভি সাংবাদিতার ধরণ ভিন্ন। এখানে সাংবাদিককে ঘটনাস্থল থেকে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়। সাংবাদিক এখানে খবরের বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সোর্ফ তৈরি করেন এবং খবর জন্ম দেয় এমন লোকও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এসব কাজের জন্য সংবাদ সংস্থা পরিবেশিত খবর, বিভিন্ন সাময়িকীসহ তথ্যের বিভিন্ন উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহের কাজ সাংবাদিকরা করেন। এরপর তারা চলমান ছবি ব্যবহার করে নিজের কণ্ঠে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। কখনো কখনো তাদের ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকম স্ক্রিপ্ট ছাড়াই সংবাদ পরিবেশন করতে হয়। কোনো কোনো সাংবাদিক সংবাদ পাঠকের কাজও করে থাকে।

রেডিও :

বর্তমানে রেডিও সাংবাদিকতার একটি অন্যতম ক্ষেত্র। মোবাইল সেটে এফ এম রেডিওর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। ক্লাসের ফাঁকে, আড্ডায়, হাঁটতে, চলতে মোবাইলে বাজছে রেডিও। রেডিওর এ জনপ্রিয়তা শুধু গান দিয়েই নয়। প্রত্যেক ঘণ্টায় নিউজ আপডেটের মাধ্যমেও। বাংলাদেশ বেতার ছাড়াও বর্তমান ৫/৬টি রেডিও চ্যালেনের মধ্যে রেডিও ফুর্তি এবং এবিসি প্রত্যেক ঘণ্টায়ই সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। অন্যান্য রেডিও এফএম চ্যানেলগুলোও শীঘ্রই তাদের শিডিউলে আনবে নিউজ । এ নিউজ সংগ্রহ, উপস্থাপন সাংবাদিকদের মাধ্যমেই হবে। রেডিও সাংবাদিকতায় কণ্ঠের গুরুত্ব একটু বেশি।

সংবাদ সংস্থা :

সংবাদপত্র, টিভি, রেডিও ছাড়াও সাংবাদিকতার সুযোগ রয়েছে সংবাদ সংস্থায়। বর্তমানে দেশে অনেক সংবাদ সংস্থা রয়েছে। যেমন- বাসস, ইউ এনবি, বিডি নিউজ, এনএনবি, ফোকাস বাংলা ইত্যাদি। এসব সংস্থায় চাকরি করতে গ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারি হতে হয়। ইংরেজি ভাষায় দখল থাকলে ভালো হয়।

সাংবাদিকতায় চাকরির সুযোগ :

সাংবাদিকতা একটি প্রফেশনাল কোর্স। অর্থাৎ সাংবাদিকতা করে খুব বেশি লোককে ঘরে বসে থাকতে হয় না। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন রকমের খবরের কাগজ এবং জনসংযোগ বিভাগে চাকরি পাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। যোগ্যতা থাকলে আপনাকে চাকরি খুঁজতে হবে না আপনাকেই চাকরি খুজবে। আপনি যদি সাধারণ কোনো পত্রিকায় আপনার যোগ্যতা প্রকাশ করতে পারেন বড় বড় পত্রিকা আপনাকে ডেকে নেবে। আর দিন দিন বাড়ছে মিডিয়া। সুতরাং চাকরির নিশ্চয়তা এখানে হান্ড্রেড পার্সেন্ট। তবে সাংবাদিকরা সাংবাদিকতাকে চাকরি হিসেবে না নিয়ে নেন আনন্দ হিসেবে। একজন সাংবাদিকের কাজই হলো জনগণের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরা। এটাকে তাই পেশা নয় সেবা হিসেবেই নেন সবাই।

সাংবাদিক হতে হলে :

সফল সাংবাদিক হওয়ার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন খবর সম্পর্কে বোধ ও গভীরতা। ইংরেজিতেও বলে নিউজ সেন্স। পরিবেশন করা খবর পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে কী-না, তা একজন সাংবাদিকের যোগ্যতার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সময়ের সাথে সমানতালে চলার মানসিকতা ও স্বচ্ছ পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি ভালো সাংবাদিক হয়ে ওঠার চাবিকাঠি।
সাংবাদিকতার কাজে দায়িত্ব অনেক বেশি। প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে কোনো খবর সংগ্রহ করতে না পারলে অন্য সাংবাদিকদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়। কিন্তু ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কোনো ছবি একবার ধরতে না পারলে আর সুযোগ পাওয়া যায় না। তাই চব্বিশ ঘণ্টা চোখ কান খোলা রাখতে হবে। একটানা অনেকক্ষণ কাজ করার মত শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাও থাকা চাই। এ পেশায় রাতে ঈদের দিনও ডিউটি করতে হতে পারে।
সাংবাদিকতা বা গণযোগাযোগ বিষয় না পড়লেও সাংবাদিক হওয়া যায়। সেক্ষেত্রে স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র হলে ভালো হয়। তবে লেখার হাত ও কথা বলার গুণ থাকতে হবে। শিল্পের প্রতি আগ্রহ থাকলেও এ পেশায় জায়গা করে নেয়া সম্ভব। অনেক সংবাদপত্র বা টিভিতে পরীক্ষার মাধ্যমে সাংবাদিক নেয়া হয়। বেসরকারি সংস্থায় বিজ্ঞাপন দিয়েও লোক নেয়া হয় বটে, তবে বিজ্ঞাপন বের না হলেও আবেদনপত্র বা সিভি জমা দেয়া যায়।
বর্তমানে দেশে বেসরকারি মিডিয়া আছে। এসব মিডিয়ার পত্র-পত্রিকা বা চ্যানেলে সাংবাদিকতা করতে চাইলে, কর্মরত সাংবাদিক বা যেকোনো ধরনের কর্মকর্তার সাথে ভালো যোগাযোগ রাখতে হবে। সাংবাদিকতার অধিকাংশ জনশক্তিই এ যোগাযোগের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এজন্য যাদের আগ্রহ আছে আজ থেকে সখ্যতা গড়ুন যেকোনো সাংবাদিকের সাথে।

সম্মানী কেমন :

সাংবাদিকতা অনেকের কাছে স্বপ্নের মত। সাংবাদিকতা করে একদিকে পাওয়া যায় ব্যাপক পরিচিতি, সম্মান অন্যদিকে আছে স্বচ্ছল জীবনের হাতছানি। এখানে প্রথমদিকে হয়তো আয়ের পরিমাণটা কম। তবে অভিজ্ঞতা অর্জনের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আয় রোজগার। দেশে আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সম্মানী ১০-৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। তবে ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এ অঙ্ক বাড়তে পারে। আর যদি সাংবাদিকতার মাধ্যমে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার সাংবাদিক হওয়া যায় তাহলে সম্মানী এর দ্বিগুণও হতে পারে।

পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ :

আমাদের দেশে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করা য়ায়। পিআইবি থেকে ১ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স ডিগ্রি নেয়া যায়। এছাড়া দেশের ৬/৭টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও অনার্স মাস্টার্সের সুযোগ রয়েছে।

পড়াশোনা : একটি কার্যকর পদ্ধতি

মানুষের জীবনকে সহজ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান এনে দিয়েছে সমৃদ্ধি আর আরাম। s11sqপড়াশোনার ক্ষেত্রেও বিজ্ঞান সহজ পথ দেখিয়েছে। নিম্নে সফল পড়াশোনায় বিজ্ঞানের সে কার্যকর পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।
এ পদ্ধতিটি হলো ড. ফ্রান্সিস পি রবিন্সের SQ3R পদ্ধতি। যা তিনি ১৯৪১ সালে দিয়েছিলেন। বিগত অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে উন্নত বিশ্বে পড়াশোনার এ পদ্ধতিটি সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পদ্ধতিটি একজন ছাত্রকে-
১. সে কী শিখবে।
২. কীভাবে পড়ার বিষয়বস্তু দ্রুত ও সহজে বুঝবে।
৩. কোন্টি গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে তা মুখস্থ করবে।
৪. পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কীভাবে বারবার রিভিশন করবে তা শেখায়।
SQ3R একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। এর বিস্তারিত হলো :
S = Survey বা জরিপ
Q = Question বা প্রশ্ন
R = Read বা পড়া
R = Recite আবৃত্তি করা
R = Review পুনরায় পড়া
পড়াশোনার বহুল ব্যবহৃত এই জনপ্রিয় পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপ নিচে দেয়া হলো।

Survey বা জরিপ:
যে কোনো বিষয় ভালোভাবে বুঝতে বা মুখস্থ করতে হলে প্রথমে বিষয়টি সম্পর্কে একটি সামগ্রিক বা প্রাথমিক মানসিক প্রস্তুতি থাকা দরকার। এ জন্য বিস্তারিত পড়ার আগেই শিরোনাম উপশিরোনামগুলো দেখে নিতে হবে। এ পর্যায়ে যদি কোনো ছবি বা কার্টুন চোখে পড়ে তবে তার ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করতে হবে। পাঠ্য বিষয়টির সাথে যদি কোনো সারমর্ম বা মূলবক্তব্য থাকে তবে তা বিষয় বস্তুর গভীরে প্রবেশ করার আগেই জেনে নিতে হবে। কোনো অধ্যায়ের শেষে অধ্যায়টির সারসংক্ষেপ দেয়া থাকলে তাও পড়ে ফেলুন। একইভাবে কোনো বইয়ের একটি বিশেষ অধ্যায় পড়তে শুরু হলে এর শুরুর এবং শেষের প্যারাটি পড়ুন। কোনো ডায়াগ্রাম, সারণি থাকলে তাতে খুব ভালো করে চোখ রাখুন। এ পর্যায়টি খুব দ্রুত ও সংক্ষিপ্ত হওয়া আবশ্যক। এর সময় বড়জোর দু’তিন মিনিট হতে পারে।

Question বা প্রশ্ন:
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ যে কোনো একটি বিষয়ের প্রতি একটানা মনোনিবেশ করতে পারে মাত্র ২০ সেকেন্ড হতে ৩০ সেকেন্ড। যদি সে বিষয়টিতে আগ্রহোদ্দৗপক কিছু খুঁজে না পায় বা বিষয়টি বুঝতে দুরুহ হয়। এ সমস্যার সমাধান করা যায় প্রশ্ন তৈরির মাধ্যমে। মনোযোগ বাড়ানোর জন্য এই ধাপে পাঠ্য বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এক বা একাধিক প্রশ্ন গঠন করা হয়। এটা ব্যক্তির মধ্যে বিষয়বস্তুটির বোঝা ও এর সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়ায়। ফলে শিক্ষার্থীরা বিষয়টিতে আরো বেশি করে মনোযোগ সন্নিবিষ্ট করতে পারে।

Read বা পড়া:
যে কোনো একটি বিষয় শুধু একবার পড়তে হবে। পরবর্তী বিষয়ে পড়তে যাওয়ার আগেই নিচের ধাপে যেতে হবে। একবার মাত্র পড়ার সময় পূর্ববর্তী ধাপে যে প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিল পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে তার উত্তর খ্ুঁজে বের করতে হবে।

Recite বা আবৃত্তি করা:
পূর্ববর্তী ধাপে একবার মাত্র বিষয়টি পড়ার পর দ্বিতীয় ধাপে প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিলো তার উত্তর বা নোট বন্ধ করে মনে মনে স্মরণ করার চেষ্টা করতে হবে। এটা মনে করা যেতে পারে অথবা কাগজে লিখে ফেলা যেতে পারে। যদি দেখা যায় মনে করা যাচ্ছে না তবে আবার বই বা নোট খুলে দ্রুত পড়ে নিয়ে উত্তরটা খুঁজতে হবে। ছোট ছোট প্রশ্নোত্তর লিখে লিখে এভাবে পড়ার এই পদ্ধতিটি একটি কার্যকর পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে একবার বিষয়বস্তুটি সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত্ব হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী বিষয়ে প্রশ্ন গঠন করে সামনের দিকে এগুতে হবে। পরবর্তী বিষয় পড়ার সময় আগের ধাপগুলোর পুনরাবৃত্তি করতে হবে এবং এভাবে পুরো অধ্যায়টি পড়তে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তা রপ্ত করা সম্ভব না হচ্ছে।

Review বা পুনরায় পড়া:
পুরো অধ্যায়টি ভালোভাবে রপ্ত হওয়ার পর নিয়মিতভাবে বিষয়বস্তুটির চর্চা রাখতে হবে পরীক্ষার আগ পর্যন্ত, যাতে তা স্মৃতি থেকে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে না যায়। এই রিভিউর চর্চাটি আবার করা যেতে পারে প্রাত্যহিক ও সাপ্তাহিক একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে। নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
প্রথম দিন:
পুরো অধ্যায়টি পড়া এবং রিসাইটের পর যেসব পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় সে বিষয়গুলো আন্ডার লাইন বা চিহ্নিত করে মার্জিনে সে প্রসঙ্গে প্রশ্নসমূহ তৈরি করে লিখতে হবে।
দ্বিতীয় দিন:
আগে পঠিত এবং টেক্সট বই ও নোট বইয়ের সহায়তায় চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমুহ পুনরায় দেখতে হবে এবং মনে করার চেষ্টা করতে হবে। টেক্সট বই, নোট বই বা নিজে থেকে লিখিত বিষয়ের ডান পাশের কলামগুলো আড়াল করে বাম পাশের মার্জিনে লেখা প্রশ্নগুলো থেকে নিজেকে প্রশ্ন করুন। তারপর উত্তরগুলো মৌখিকভাবে উচ্চারণ করুন বা লিখুন।
তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম দিন:
যেসব প্রশ্ন ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে মৌখিক এবং লিখিতভাবে নিজেকে প্রশ্ন করুন এবং পরীক্ষা করুন।
সপ্তাহ শেষে:
সপ্তাহ শেষে টেক্সট এবং নোট ব্যবহার করে একটি নির্ধারিত অধ্যায় পড়ে আপনি যা জেনেছেন তার টপিক এবং সাব টপিকসমূহের একটি টেবিল বা লিস্ট তৈরি করুন এবং এ লিস্ট থেকে একটি স্টাডি শীট তৈরি করুন।
অত:পর স্টাডি শীটে আপনার নিজের ভাষায় যেভাবে বিষয়গুলো লিখেছেন সেভাবেই তা মৌখিকভাবে পাঠ করুন বা আবৃত্তি করুন। SQ3R পদ্ধতির ধাপগুলো মোটামুটি এই। আপনি যদি এর আগে কখনো এ পদ্ধতিতে পড়াশোনা করার চেষ্টা না করে থাকেন তবে এখন তা একবার করে দেখুন। কোনো কিছু পড়ার সময় আপনার বাস্তব জীবন বা অভিজ্ঞতার সাথে ঘটনাকে মিলানোর চেষ্টা করুন। প্রশ্নোত্তর হুবহু পাঠ্য বইয়ের ভাষায় বা গাইডের ভাষায় না লিখে নিজের ভাষায় বুঝে লেখার চেষ্টা করুন। না বুঝে মুখস্থ করে বুঝে মনে রেখে পড়ুন। দেখবেন আপনার চিন্তাশক্তি ও ক্ষমতা বেড়ে গেছে।

ক্যারিয়ার গড়ুন এনজিওতে

গত ২০০৮- এর এপ্রিল মাসের একটি সংবাদ, “সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে তুলে দিচ্ছে ব্র্যাকের হাতে”। এ সংবাদ আর ngo-for-ngoসরকারের সিদ্ধান্ত জনসম্মুখে প্রকাশ করার পরই শুরু হয় তোলপাড়। তোলপাড় তো হওয়ারই কথা। যেখানে আমাদের জাতীয় শিক্ষার প্রাথমিক স্তরের উন্নতিকল্পে কাজ করবে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। অবশ্য সরকারেরও যুক্তি ছিল। প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কারিকুলাম উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিচালনা করবে ব্র্যাক। এর অর্থায়নও ব্র্যাকই করবে। কারণ আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দাতাসংস্থাগুলো প্রাধান্য দিচ্ছে এনজিওকে। সরকারও এই বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে জাতীয় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে এনজিওগুলোর সম্পৃক্ততা রেখে প্রকল্প করছে। বর্তমানে এ এনজিও চাকরির বাজারে একটি বড় ক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রের পরিধি, দক্ষতা ও সম্ভাবনা নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন। জানাচ্ছেন- এসএম মাহফুজ

এনজিও কী

এনজিও একটি ইংরেজি সংক্ষিপ্ত রূপ।
NGO- এর মানে হলো Non-Government Organization. বাংলায় ‘নয় সরকারি সংস্থা’। অর্থাৎ বেসরকারি সংস্থা। সরকার প্রতিষ্ঠা করেনি এমন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাই এনজিও। এনজিওদের নিজস্ব পরিচয় তাদের ভাষায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত অমুনাফাভিত্তিক এক ধরনের বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সাহায্য হতেই যার সূচনা। একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রবৃদ্ধি ও কার্যকরণের সম্প্রসারণ ঘটে। এনজিও শুধু জাতীয়ভাবেই নয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও রয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং পল্লী উন্নয়নে কাজ করছে এসব এনজিও।

বাংলাদেশে এনজিও

গোটা বাংলাদেশে জালের মত ছড়িয়ে আছে এনজিও। স্বাধীনতার পর পরই শুরু হয় এনজিও কার্যক্রম। প্রথম দিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এ দেশটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন দিয়ে তার কাজ শুরু করে। এরপর এনজিওগুলো গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তার লক্ষ্যে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশে এত বেশি এনজিও কাজ করে যার সঠিক পরিসংখ্যান কষ্টকর। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন অনুযায়ী ১৬ হাজারেরও অধিক এসব বেসরকারি সংস্থার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। ১৯৭০-এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও এর পরবর্তী নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সিডর ও বিজলি পরবর্তী বিধ্বস্ত বাংলাদেশে পুনর্বাসন কার্যক্রমে এনজিওগুলোর ভূমিকা স্মরণ করার মত। বর্তমানে আর্থিক ভিত্তি ও কর্মসূচির প্রসারতায় এনজিওগুলো দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সরকারের পাশাপাশি তাদের অপরিহার্যতাকে প্রমাণ করেছে। বর্তমানে যেসব এনজিও আমাদের দেশে কাজ করে এর মধ্যে কয়েকটি হলো- ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, অক্সফাম, গ্রামীণ ব্যাংক, সেইভ দ্যা চিলড্রেন, মুসলিম এইড, একশন এইড, এডুকেশন ওয়াচ, জাতিসংঘের ইউএনডিপি, ইউনেস্কো ইত্যাদি।

এনজিওর কার্যক্রম

এনজিওগুলো সামাজিক উন্নয়নে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর কার্যক্রমগুলোর মধ্যে নিম্নোক্ত কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য।

  • মানব সম্পদ উন্নয়ন
  • স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম
  • জেন্ডার, মানবাধিকার ও আইনি কার্যক্রম
  • ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম
  • শিক্ষা কার্যক্রম।

চাকরির ক্ষেত্র

চাকরির ক্ষেত্র হিসেবে এনজিওগুলো একটি বড় মাধ্যম। যদিও সব এনজিও স্থায়ীভাবে খুব কম সংখ্যককেই নিয়োগ দিয়ে থাকে। তবে বিশেষ পরিকল্পনা, প্রোগ্রামে, ক্যাম্পেইনের সময় অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়ে থাকে। এনজিও প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- ব্য্রাকের ব্র্যাক ব্যাংক, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি; গ্রামীণ ব্যাংক ইত্যাদিতেও রয়েছে ক্যারিয়ারের সুযোগ। দেশের ক্রমবর্ধমান শিক্ষিত যুবসমাজের বিপরীতে চাকরির ক্ষেত্র ততটা সম্প্রসারিত নয়। দুর্নীতি, সমন্বয়হীনতা, রাজনৈতিক মেরুকরণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান বন্ধ অথবা সঙ্কোচনের ফলে তৈরি হচ্ছে বেকার সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি এনজিও সেক্টর বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় কাজের ক্ষেত্র তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। যদিও এনজিওতে কাজ করার ব্যাপক কোনো ক্ষেত্র সেভাবে এখনো তৈরি হয়নি। তবে এটা বলা যায় ভবিষ্যতে এসব এনজিওতে ব্যাপকভিত্তিক পদ তৈরি হবে যা হবে চাকরির সবচেয়ে বড় বাজার

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে যোগ্যতার বিকল্প নেই। এখানে কাজ করতে হলে দরকার মানসিকতা, ধৈর্য, সাহস, পরিশ্রমী মনোভাব, সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে জানা। গ্রামীণ অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা মৌলিক একাউন্টিং ব্যবস্থাপনাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, কম্পিউটারে দক্ষতা, রিপোর্টিং, উপস্থাপন দক্ষতা, উপস্থিত বুদ্ধি, অভিযোজনশীলতা এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণের অদম্য ইচ্ছা।
নিয়োগের ক্ষেত্রে এনজিওগুলোও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতই পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। যেমন-Online-এ বিজ্ঞপ্তি। এক্ষেত্রে চাকরির যেসব ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলোতে এবং পত্র-পত্রিকায়ও জনশক্তি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। Email-এর মাধ্যমে CV দিয়ে বা সরাসরি CV দেয়ার মাধ্যমেই তার চাকরি-পরীক্ষা এবং ভাইভা নিয়ে থাকে।

সম্মানী

এনজিওতে কাজের সম্মানী মোটামুটি ভালো। এখানে পার্টটাইম জব করার সুযোগও রয়েছে। কেউবা কাজের সময়ানুযায়ী সম্মানী নির্ধারণ করে থাকে। এনজিওতে ক্যারিয়ার গড়তে বাংলাদেশেই ১০,০০০ টাকা হতে ৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। বড় বড় এনজিওগুলোতে বাংলাদেশে আপনার পারফরম্যান্স ভালো থাকলে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশেও কাজের ক্ষেত্র খুলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার আয় এর কয়েকগুণও হতে পারে। তবে সফলভাবে এনজিওতে ক্যারিয়ার গড়তে গুরুত্বপূর্ণ চারটি দক্ষতার প্রয়োজন।

ভালো উপস্থাপন কৌশল

এনজিওতে কাজ করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভালো উপস্থাপন কৌশল। এনজিওদের টার্গেট গ্রুপ বা তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে সংস্থার কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করানোর জন্য যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় তার প্রত্যেকটিতেই ভালো উপস্থাপন জানা প্রোফেশনাল। আপনি আপনার উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রকৃত ম্যাসেজটি টার্গেটগ্রুপের কাছে কতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারছেন আর তারা সেটা যথাযথভাবে বুঝলো কি না তার ওপরই পরিমাপ হয় আপনার এ যোগ্যতা। তবে আপনার চিন্তাভাবনাগুলো Logically বিন্যস্ত হতে হবে। প্রত্যেকটির যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকবে। আপনাকে হতে হবে উন্নয়নমূলক চিন্তাবিদ ও বিজ্ঞানমনস্ক।

ভালো লেখার ক্ষমতা

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা হলো ভালো রাইটিং স্কিল। ডাটা অ্যানালাইসিস, রিপোর্টিং মূল্যায়ন ইত্যাদির জন্য ভালো লিখিত উপস্থাপনার বিকল্প নেই যে কোনো এনজিওতে প্রোজেক্ট প্ল্যানিংকে লিখিতভাবে উপস্থাপনার জন্য।
এনজিওর পদের ধাপ ও নিয়োগ
সফল এনজিও প্রোফেশনালরা তাদের নিজ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কোনো না কোনভাবে নিম্নের ধাপগুলোর মধ্যেই নিয়োজিত থাকেন। এনজিওতে কাজের প্রধান ধাপগুলো যথাক্রমে-

  • প্রকল্প সনাক্তকরণ
  • পরিকল্পনা
  • বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ
  • মূল্যায়ন ও গবেষণা
  • রিপোর্টিং
  • পুন:পরিকল্পনা

কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করার জন্য এনজিওগুলোতে প্রধানত যে পদ রয়েছে তা হলো-

  • চেয়ারম্যান
  • পরিচালক পর্ষদের অধীনে পরিচালকবৃন্দ
  • গবেষণা পর্ষদের অধীনে গবেষকবৃন্দ
  • প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
  • এইচ আর ম্যানেজার
  • জনসংযোগ কর্মকর্তা
  • প্রোজেক্ট ম্যানেজার
  • প্রোগ্রাম ম্যানেজার
  • কর্মসূচি সংগঠক।

প্রোজেক্টের সুন্দর উপস্থাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিভিন্ন ডোনার এজেন্সি এসব প্রোজেক্ট প্রোপোজাল দেখেই সাহায্য দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ইংরেজিসহ ভালো অনুবাদও গুরত্বপূর্ণ। রিপোর্ট লেখাসহ বড় সমস্যাকে ছোট করে বুলেট পয়েন্টে তুলে ধরা জানতে হবে।

টিমওয়ার্ক

যে কোনো এনজিওর সাফল্য নির্ভর করে এর টিম ওয়ার্কের ওপর। টিমওয়ার্ক মূলত একই উদ্দেশ্যে একটি সংঘবদ্ধ কর্ম। প্রকল্প ব্যবস্থাপককে এজন্য তার টিমের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হয়। টিম ভালো করলেই প্রোজেক্ট আউটপুট ভালো হবে। আর টিম খারাপ করলে প্রোজেক্টে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এজন্য প্রকল্প ব্যবস্থাপককে সংস্থার মিশন-ভিশনের সঙ্গে প্রকল্পের যোগসূত্র সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হয় তার টিমকে। সবাই যাতে একই উদ্দেশ্যে সমানভাবে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে তার জন্য নিতে হয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে প্রকল্পকে কাজে পরিণত করতে একদল কর্মীর সম্মিলিত প্রয়াস থাকে।
এনজিওর জন্য আরেক গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা হলো নেতৃত্বের গুণাবলী। তবে একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনার্স বা ডিগ্রিধারী হতে হবে। কিছু বড় বড় এনজিও’র ফান্ড রেইজিং নামে পৃথক বিভাগও থাকে যারা সংশ্লিষ্ট এনজিও’র ফান্ড সংগ্রহের জন্য কাজ করে। বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি এনজিও স্থানীয় সম্পদের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়ে থাকে। বাকি অধিকাংশ এনজিওই পরিচালিত হয় বাইরের দাতা সংস্থাগুলোর আর্থিক অনুদানে। আবার কিছু আন্তর্জাতিক এনজিও বাংলাদেশে তাদের কান্ট্রি অফিসের মাধ্যমে সরাসরি বাস্তবায়ন করে থাকে। তবে ফান্ড পেতে হলে দাতারা প্রথমেই বিবেচনা করেন এ ফান্ড কাজে লাগানোর সক্ষমতা আছে কি-না। কোন দাতার কাছে প্রোজেক্ট প্রোপোজাল সাবমিট করলেন, আপনার পরিকল্পনাও দাতাদের পছন্দ হলো, কিন্তু তারা তখন চিন্তা করতে থাকে আপনার এনজিওর সক্ষমতার কথা;তাদের অর্থ কতোটা নিরাপদ ও ফলপ্রসূ। তবে দাতারা প্রথমে ছোট ফান্ডের বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এরপর সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারলে পুনরায় বড় অর্থ সাহায্য আসতে পারে।
দাতারা আপনার এনজিওর প্রকল্প ব্যয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় নিয়েও আগ্রহী। অর্থাৎ তারা দেখে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে কতটা ভারসাম্য আছে। এ জায়গাতেই আপনাকে চমক দেখাতে হবে।

এনজিও’র সম্ভাবনা

বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশসমূহে এনজিওগুলোর কাজ করার বিশাল ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দাতা সংস্থাগুলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এনজিও পরিচালনার ওপর জোর দিচ্ছে। ১৯৯৯-এর তথ্যমতে দেশী এনজিও ১২৮০, বিদেশী এনজিও ১৪৯ এবং বিদেশী সাহায্যপুষ্ট এনজিও প্রকল্পের সংস্থা ৬,৪২৪টি। এই বিপুল সংখ্যক এনজিওতে কাজ করছে বিপুল জনশক্তি। প্রতিদিনই কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে দক্ষ ও অদক্ষ জনগোষ্ঠীর। এনজিও’র বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে জনশক্তির প্রয়োজন তার চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে স্থানীয় জনগোষ্ঠী থেকে। কাজেই বাংলাদেশের শিক্ষিত, দক্ষ, তরুণ তরুণীদের জন্য কাজের বিশাল দুয়ার খুলে গেছে। এখন সরকারি বেসরকারি সংস্থাগুলোর পরে এনজিওগুলোই হয়ে উঠেছে দক্ষ জনশক্তির গন্তব্য। বাংলাদেশের এনজিওর ভূমিকা যতই বিতর্কবিদ্ধ হোক, তার্কিকেরা এটা স্বীকার করতে নিশ্বয়ই পিছপা হবেন না যে, আমাদের কর্মসংস্থানে এনজিও-ও কিছুটা সহায়ক।

প্রতিষ্ঠা করতে পারেন আপনিও

বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করতে হলে প্রথম ধাপ হলো অনুমতি গ্রহণ বা বৈধতা অর্জন। বাংলাদেশে এনজিওদের গঠনগত আইনী বৈধতার জন্য বিধিবদ্ধ সংস্থা হলো সমাজসেবা অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, NGO Affairs Bureau এবং Joint Stock Company উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত স্ব-স্ব নিয়ম-নীতির পদ্ধতিগত পরিমাপের আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ তাদের আইনগত বৈধতা প্রদান করে থাকে। উল্লেখ্য যে, বৈদেশিক কোনো আর্থিক ও কারিগরী সাহায্য সহযোগিতা পেতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এনজিও’কে NGO Affairs Bureau হতে রেজিস্ট্রার হতে হবে বা রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে। Co-Operative Society এবং Voluntary Organization হতে হলে অবশ্যই প্রথমে সমবায় অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার হতে হবে।

অর্থ পাবেন কোথায়?

যে কোনো এনজিও’র টিকে থাকাটা নির্ভর করে বৈদেশিক সাহায্য ও নিজস্ব সম্পদের ওপর। বাংলাদেশের অধিকাংশ এনজিও মূলত দাতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তাদের সুবিধাভোগীদের সেবা দিয়ে থাকে। এ সেবার মেয়াদ বিভিন্ন প্রকল্পের ছকে বাঁধা থাকে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেবার সমাপ্তি ঘটে। তখন আবার খুঁজতে হয় নতুন নতুন প্রোজেক্ট। বিকল্প কোনো ফান্ড।

ঘরে বসে পড়ুন বিদেশে

এসএম মাহফুজ

সিয়াম। বিবিএ শেষ করেছেন। তার ইচ্ছা দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি নিবেন। কিন্তু বাঁধ সাধলেন মা। মা তাঁকে দেশের education_onlineবাইরে যেতে দেবেন না। এদিকে সিয়াম নিজের ক্যারিয়ারের কথাও চিন্তা করছেন বারবার।
সিয়ামের যখন এ দোলুল্যমনতা, ঠিক তখনি তার বন্ধু সায়েম জানাল চমৎকার এক সুযোগের কথা। শুধু দেশেই নয়, ঘরে বসেই বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি শেষ করতে পারবে সে।
নিজের ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষালাভ করার যে পদ্ধতির কথা সিয়াম তার বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পেরেছে, এর নাম অনলাইন শিক্ষা। শিক্ষা পদ্ধতির বিবর্তনের বিভিন্ন ধাপের মধ্যে একটি ধাপ হলো অনলাইন শিক্ষা।
এখন অনলাইন সুবিধার মাধ্যমে নিজের ঘরে বসে বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে সেখানকার ডিগ্রি নেয়া যায়। এর মাধ্যমে আন্ডার গ্রাজুয়েট থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট পর্যন্ত বিজ্ঞান, মানবিক, ও ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন ফ্যাকাল্টিতে ডিগ্রি লাভের সুযোগ পেতে পারেন বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের মানুষ। এ জন্য প্রয়োজন আপনার কম্পিউটারটিতে ইন্টারনেট সংযোগ।

অনলাইন শিক্ষা নেন কারা

বর্তমানের এই চরম ব্যস্ততায় যখন মানুষের হাতে সময়ের অভাব সবচেয়ে বেশি তখন অনলাইন শিক্ষা সুবিধা যেন বিশাল সুযোগ! বিশেষ করে সে সব মানুষের কাছে, যারা চাকরি বা অন্যান্য কাজ বা দায়িত্বের কারণে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে গিয়ে পড়াশোনার আলাদা সময় বের করতে পারে না। এ ছাড়া যারা নিজের পরিবার ছেড়ে অন্য কোনো শহরে বা দেশে গিয়ে পছন্দমতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে পারছে না, তাদের জন্যও কাক্সিক্ষত উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে আধুনিক এ শিক্ষা পদ্ধতিটি।

অনলাইন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়

বিশ্বের সব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়েই যে অনলাইন শিক্ষার সুবিধা রয়েছে তা নয়। নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে আন্ডার গ্রাজুয়েট হতে পোস্ট গ্রাজুয়েট পর্যায়ের পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। তন্মধ্যে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও পড়ার বিষয় উল্লেখ করছি।

  • ইউনিভার্সিটি অব ফনিক্স। বিষয়- অ্যাকাউন্টিং, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, ই-বিজনেস, ফিন্যান্স ইনফরমেশন সিস্টেম, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, হেলথ এডমিন, হিউমেন সার্ভিস, আইটি ও নার্সিং।
  • কালপান ইউনিভার্সিটি। বিষয়-ম্যানেজমেন্ট অব আই এস, ক্রিমিনাল জাস্টিস, বিজনেস অ্যাকাউন্টিং, এনিমেশন, ডেটাবেজ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেশন, ই-বিজনেস, নার্সিং, হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট।
  • জোনস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বিষয়- বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন ও কম্পিউটার ইনফরমেশন সিস্টেম।
  • ওয়ালডেন ইউনিভার্সিটি। বিষয়- বিজনেস, অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, এইচআর ম্যানেজমেন্ট, লিডারশিপ।

অনলাইন সুবিধাদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট

  • বোস্টন ইউনিভার্সিটি : www.bu.edu
  • ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি : www.fiu.edu
  • ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন : www.ulec.ac.uk
  • স্ট্যান ফোর্ড ইউনিভার্সিটি : www.stanford.edu
  • এজিএমএ কলেজ : www.agmacollege.com
  • ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি : www.distance.uvic.ca
  • ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি : www.wsu.edu
  • জাকসনভিল ইউনিভার্সিটি : www.Jacksonville.edu
  • ইউনিভার্সিটি অব স্ট্রেচক্লাইড অব লিভার পুল : www.its.strath.ac.uk
  • ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি : www.online degreestoday.com
  • অনলাইন কলেজ : www.online-college-courses.net
  • অনলাইন কলেজ কোর্সেস : www.online- college-courses. info
  • অনলাইনে বিএসসি কোর্স : www.online-bsc.com
  • অনলাইনে এমএসসি কোর্স : www. Online-msc.com
  • অনলাইনে এমবিএ : www.ie.edu/online MBA
  • মাস্টার্স অব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস : www.online-education-degree.com

অনলাইন শিক্ষার সুবিধা অসুবিধা

অনলাইন শিক্ষার অনেক সুবিধা রয়েছে। বড় সুবিধা হলো যে কেউ নিজের সুবিধামত সময়ে তার পড়ালেখার সময়টা নির্ধারণ করে নিতে পারবে। নিয়মিত শিক্ষার ক্ষেত্রে যেমন ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হয়, ক্লাসে যেতে না পারলে লেকচার বাদ পড়ে যায়; কিন্তু এখানে সেরকম হওয়ার সুযোগ কম। আবার চাকরি করার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চাকরি সম্পর্কিত কোনো শিক্ষা অর্জন করতে চইলে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। ফলে চাকরি কিংবা পড়াশোনা কোনটিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অনলাইনে শিক্ষার আরেকটি ভালো দিক হলো এর মাধ্যমে সারাবিশ্বের অনেক দেশের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় যে কোন সাহায্য নেয়া যায়, আলোচনা করা যায়, সেই সঙ্গে পড়াশোনায় এ সহায়তা পাওয়া যায়। অনলাইন শিক্ষার আরেকটি সুবিধা হলো পছন্দের বিষয়ে কোর্স করা যায়। অনলাইন পড়াশোনায় সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষার এই ডিগ্রিটাকে সাময়িক ডিগ্রির মত তেমন গুরুত্ব দিতে চায়না। ফলে তাদের কাজ পেতে কোথাও কোথাও সমস্যায় পড়তে হয়। অনলাইন শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি মানসম্পন্ন হয় না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

অনলাইন শিক্ষার খরচ

অনলাইন শিক্ষার জন্য খরচের ব্যাপারে বেশ সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে টিউশন ফি একটু বেশি, কিন্তু বিদেশে গিয়ে রেগুলার ডিগ্রি নিতে যে খরচ হয় তার চেয়ে অনলাইনে শিক্ষার খরচ বেশ কম। বর্তমান সমসাময়িক শিক্ষার চেয়ে অনলাইন শিক্ষায় পড়াশোনার খরচ অনেক কম। বর্তমান শিক্ষার নোট, লেকচার, অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে যে রকম অসুবিধায় পড়তে হয়, অনলাইনে এসব কোনো সমস্যাই না। কারণ, অনলাইনে বসে আপনার মাউসের কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব কিছু মাত্র কয়েক সেকেন্ডে চলে আসে আপনার হাতের মুঠোয়।

সঠিক অনলাইন শিক্ষার জন্য

অনেক শিক্ষার্থীই ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পাওয়া নিয়ে বেশ দুঃশ্চিন্তায় থাকেন। কারণ, বর্তমানে অনলাইন প্রতারকের তো অভাব নেই। অনলাইন শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন। ভালো বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের একটি উপায় হলো, বিশ্ববিদ্যালয় যে কোর্সগুলো অফার করছে সেগুলোর সঙ্গে বর্তমান বিশ্বের খাপ খাওয়া এমন কোনো কোর্স আছে কী-না তা দেখা। দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, সেদিকেও নজর দেয়া উচিত। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত কোর্সগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি, এবং এসব কোর্স আপনার নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে কী-না, সে খোঁজ নিন। যদি থাকে, তবে জেনে নিন তাদের সিলেবাসটা কি পরিমাণ আপডেটেড। অনলাইন শিক্ষার খরচ কম, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি একটু বেশি। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি কম টিউশন ফি অফার করে থাকে তখন বুঝতে হবে শিক্ষার মান কেমন হবে। কোন্ বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেড কেমন তা আগেই জেনে নিন।

বাংলাদেশে অনলাইনে শিক্ষা

বাংলাদেশে এখনো অনলাইন শিক্ষা তেমনভাবে শুরু হয়নি। তবে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দূরশিক্ষণ শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে তাতে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেটে কিছু প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।

অনলাইন শিক্ষার বাজার

অনলাইন শিক্ষা বা ই-লার্নিংকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বেশ বড়ধরনের বাজার সৃষ্টি হয়েছে। এই বাজারের পরিমাণ হবে ৪০ বিলিয়ন ইউরো। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে এই বাজারের মোট ২০ ভাগ রয়েছে। বিশ্বের অসংখ্য অনলাইন শিক্ষার্থীকে সাহায্য করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হলো- নজেল, এনিহোয়ার, স্কিলসফট, অ্যাপিক, টাটা ইন্টারেকটিভ সিস্টেমস, লার্নকী, সোমানুর, ব্লুইড, লার্নিস্টেপস ডটকম।
বিশ্বের অনলাইন শিক্ষাদানকারী দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা সবচেয়ে এগিয়ে।