ভাতের অপকারিতা

আমাদের জাতীয় জীবনের উন্নতি-অগ্রগতি-সমৃদ্ধির পথে সবচেয়ে বড় বাধা কি জিজ্ঞাসা করলে একেক জন একেক উত্তর দিবেন। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যদি বিবেচনা করেন, তবে আমি বলব ভাতই আমাদের এক নম্বর জাতীয় শত্র“। চাল বা ভাত এমন একটি প্রধান খাদ্য যাতে চিনি (শর্করা/ শ্বেতসার/ carbohydrate) বেশী পরিমাণে থাকে। ফলে আমাদের শারীরিক বৃদ্ধি বা যৌবন প্রাপ্তি ঘটে খুবই দ্রুতগতিতে। ফলে আমরা বিয়ে করি দ্রুত এবং বাচ্চা-কাচ্চা উৎপাদন করি দ্রুত। মনে হয় সেদিন যাকে দেখলাম হাফ-পেন্ট পড়ে খেলছে, দুদিন পরই দেখি বাচ্চা-কাচ্চার মাতা-পিতা হয়ে সে অবসন্ন হয়ে পড়ছে। অর্থাৎ ভাত খাওয়া আমাদের ভয়ঙ্কর গতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি বড় মুল কারণ। বিশ্বাস না হলে চীন-ভারত-ইন্দোনেশিয়া-জাপান-কোরিয়া প্রভৃতি ভাত খাওয়া দেশের দিকে তাকাতে পারেন, প্রতিটি দেশই জনসংখ্যার ভারে বিপর্যস্ত। জনসংখ্যার কল্পনাতীত বিস্ফোরণের কারণে সরকার প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেও আমাদের সকলের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছে না। ভাত আমাদের কেবল দ্রুত যৌবন প্রাপ্তিই ঘটায় না, পাশাপাশি আমাদেরকে ফটাফট্ বুড়ো-বুড়িতেও রূপান্তরিত করে থাকে। ফলে আমরা তাড়াতাড়ি অকর্মণ্য হয়ে পরিবার-সমাজ-দেশের বোঝায় পরিণত হয়ে যাই। কেননা বুড়ো হলে একদিকে কাজ করার শক্তি কমে যায়, অন্যদিকে অসুখ-বিসুখে একেবারে কাবু করে ফেলে। এটা ঠিক যে, চিনি/শর্করা/শ্বেতসার/কার্বোহাইড্রেট আমাদের সকল শক্তির মূল উৎস এবং এগুলো ছাড়া আমরা অচল। আবার এটাও সত্য যে, শরীরে অতিরিক্ত (চিনি/শর্করা/শ্বেতসার) কার্বোহাইড্রেটের সরবরাহ আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। বিষয়টিকে পানির সাথে তুলনা করলে সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত হয়। আমরা সবাই জানি যে, স্বাভাবিক পানি আমাদের বেঁচে থাকার মূল কারণ আবার বন্যার (অতিরিক্ত) পানি আমাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে।

আমাদের দেশে ডাক্তারদের কাছে যত লোক যায়, তাদের শতকরা ৯০ ভাগেরই দেখা যায় গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা আছে। ভাতে থাকা অতিরিক্ত চিনি থেকেই পেটে গ্যাস হয়, গ্যাস থেকে হয় এসিডিটি এবং এসিডিটি থেকে হয় আলসার। ভাত খাওয়া (অর্থাৎ ভাত খাওয়ার মাধ্যমে বছরের পর বছর শরীরে মাত্রাতিরিক্ত চিনি সরবরাহ করা) যে ডায়াবেটিস হওয়ারও সবচেয়ে বড় কারণ, সেটি নিশ্চয় কেউ অস্বীকার করবেন না। রুটি যে-সব দেশের প্রধান খাদ্য, সে-সব দেশে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, সেখানে ডায়াবেটিস এবং গ্যাসট্রিক আলসারের কোন মহামারী নাই। এই পর্যায়ে বলা যায় যে, প্রতি বছর এই দুইটি মহামারী রোগের চিকিৎসার জন্য এই গরীব দেশটিকে হাজার হাজার কোটি টাকার ঔষধ বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। কেউ কেউ বলতে পারেন যে, এই দুটি রোগের জন্য ব্যবহৃত বেশীর ভাগ ঔষধই দেশে তৈরী হয়ে থাকে। হ্যাঁ, ঔষধগুলো দেশে তৈরী হয় বটে ; তবে ঔষধ তৈরীর যন্ত্রপাতি, ক্যামিকেল, প্যাকিং সামগ্রী ইত্যাদি সবই কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। তাছাড়া এসব রোগ নির্ণয় করার জন্য যে-সব প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করতে হয় ; তাদের যন্ত্রপাতি, রিয়েজেন্ট ইত্যাদিও বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। ডাক্তারের চেম্বারে বা হাসপাতালে লাইন দিয়ে বসে থাকা এবং দিনের পর দিন বিছানায় পড়ে থেকে যত মূল্যবান সময়ের অপচয় হয়, সেই কথা না হয় বাদই দিলাম। কেবল এই দুইটি রোগই নয়, ছোট-বড় আরো শত শত রোগের উৎপত্তির সাথেই এই খতরনাক ভাতের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যাবে (অর্থাৎ রক্তে চিনির ভারসাম্যহীনতার)। ডাক্তারদের মতে, এক মুঠো ভাত খাওয়া আর এক মুঠো চিনি খাওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোন পার্থক্য নাই।

আপনি যদি বলেন যে, ভাত নয় বরং অলসতাই হলো আমাদের জাতীয় উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথে প্রধান বাধা ; তবে আমি বলবো ভাতই আমাদের দেহ-মনে অলসতা সৃষ্টি করে। ভাতের মধ্যে থাকা মাত্রাতিরিক্ত চিনি / শ্বেতসার অলসতার একটি মুল কারণ। আমরা যে সামান্য একটু পরিশ্রম করলেই কাহিল হয়ে পড়ি, ভাতে থাকা মাত্রাতিরিক্ত সুগারই ইহার জন্য দায়ী। ভাতে যেহেতু প্রচুর চিনি থাকে এবং ভাত দ্রুত হজম হয়ে তার মূল খাদ্য উপাদান শোষিত হয়ে রক্তে চলে যায়, সেহেতু ভাত খাওয়ার ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই হঠাৎ করে আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় এবং আমরা ডায়াবেটিস রোগীদের মতো ঘুমঘুমভাব, দুর্বলতা, অলসতা অনুভব করতে থাকি। তবে প্রশ্ন করতে পারেন, জাপানী-কোরিয়ানরা তো ভাত খাওয়া সত্ত্বেও আমাদের মতো অলস নয় বরং কঠোর পরিশ্রমে অভ্যস্ত এবং অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত-শ্রান্তও হয় না। হ্যাঁ, এক্ষেত্রে আবহাওয়াগত কিছু সুবিধা তারা পেয়েছে। তাদের জলবায়ু শীত প্রধান হওয়ার কারণে যথেষ্ট পরিশ্রম করলেও তাদের শরীর ঘামায় না। ফলে তারা আমাদের মতো সামান্য পরিশ্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে না। আর মঙ্গোলীয়ান গোষ্টির লোকেরা (অর্থাৎ নাক বোচা মানুষরা) নৃতাত্ত্বিকভাবেই খুবই পরিশ্রমী হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে আবহাওয়াজনিত কারণে আমাদের শরীর ঘামায় বেশী এবং ঘামের সাথে প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ বেড়িয়ে যাওয়ার কারণে আমরা সহজেই দুর্বল হয়ে পড়ি। এক্ষেত্রে ভাত এবং ঘামানো দুটোই আমাদের অলসতা-দুর্বলতা-কর্মবিমুখতার জন্য সমানভাবে দায়ী।

কোনো কোনো পন্ডিত ব্যক্তি যুক্তি দেখান যে, পরিমাণ মতো ভাত খাওয়া ক্ষতিকর নয় বরং মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ভাত খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু সমস্যা হলো ভাতের মধ্যে এমনই এক অদ্ভূত দুর্দমনীয় আকর্ষণ আছে যে, ভাত খাওয়ার সময় মাত্রা মতো খাওয়ায়ই কষ্টকর বরং মাত্রাতিরিক্ত খাওয়াই স্বাভাবিক। পক্ষান্তরে আটার রুটি মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যে-কোরো পক্ষেই কঠিন। কেননা ভাত নরম এবং ভেজাভেজা আর রুটি শক্ত এবং শুকনা। কেউ কেউ বলবেন যে, দারিদ্রতাই আমাদের মুল সমস্যা। একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে যে, ভাতই আমাদের দুরারোগ্য দারিদ্রের মুল কারণ। কেননা ভাত গলা পর্যন্ত খেলেও দুই ঘণ্টার মধ্যেই হজম হয়ে যায়। ফলে (ভাত) খেতে হয় প্রচুর এবং এজন্য খাওয়ার পেছনে ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমাদেরকে বাধ্য হয়ে ব্যয় সঙ্কোচন করতে হয়। আমাদের শক্তি-সামর্থ বলুন আর (তালপাতার সেপাই মার্কা) হাস্যকর শারীরিক আকার-আকৃতিই বলুন, সবই করুণার উদ্রেক করে (যাচ্ছেতাই)। আর ইহার জন্য দায়ী এই কুলাঙ্কার ভাত। ভাত খাওয়া চীনা, ভারতীয় আর ইন্দোনেশিয়ানদের স্বাস্থ্য দেখেন আর রুটি খাওয়া এরাবিয়ান, ইউরোপীয়ান ও আমেরিকানদের স্বাস্থ্য দেখেন, তাহলেই ভাতের মহিমা বুঝতে পারবেন। ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদির মতো পরিশ্রম সাধ্য খেলাগুলোতেও দেখবেন ভাত খাওয়া দেশের ছেলে-মেয়েরা তেমন সুবিধা করতে পারে না। কারণ একটাই আর তাহলো ভাত খেলে অল্প সময়ের জন্য প্রচুর শক্তি (ক্যালরি) সাপ্লাই পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরই রক্তে ক্যালরির সাপ্লাই একেবারে বিপজ্জনকভাবে কমে যায়। পক্ষান্তরে রুটি খেলে সেটি ধীরে ধীরে হজম (অর্থাৎ রক্তে শোষিত) হয়, ফলে রক্তে এনার্জি/ ক্যালরির মাত্রা একই রকম থাকে দীর্ঘ সময় যাবত। ভাতের মতো অল্প সময়ের জন্য ভীষণ বেড়েও যায় না এবং তারপর একেবারে মুশকিলে ফালানোর মতো কমেও যায় না। আমরা যদি ভাত খাওয়া বাদ দিয়ে দ্রুত রুটি খাওয়ায় অভ্যস্ত না হই, তবে সরকার দীর্ঘদিন যাবত ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের পেছনে যে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করছে, তা আরো কত যুগ চালিয়ে যেতে হবে আল্লাহ্ই ভালো জানেন। অথচ আরবদেশ, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি রুটি খাওয়া দেশের সরকারগুলো দম্পতিদের হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার বোনাস দিয়েও তাদের দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারছে না। কোন কোন বিশ্লেষক মনে করেন যে, ভাত নয় বরং অশিক্ষা এবং দারিদ্রের কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাহলে আরব দেশগুলোর দিকে লক্ষ্য করুন, তাদের শিক্ষার হার অনেক কম তারপরও তাদের জনসংখ্যার বিষ্ফোরন নাই। এমনকি কয়েক দশক পূর্বে যখন তারা দরিদ্র ছিল, তখনও তাদের জনসংখ্যার কোন সমস্যা ছিল না।

অনেকে মনে করেন, অশিক্ষাই আমাদের সমৃদ্ধির পথে সবচেয়ে বড় বাধা। এক্ষেত্রে বলা যায় অভাব অশিক্ষার মূল কারণ, অভাবের মূল কারণ জনসংখ্যার লাগামহীন বৃদ্ধি এবং জনসংখ্যার লাগামহীন বৃদ্ধির মূল কারণ ভাত। ইদানীং অনেকে বলছেন যে, দুর্নীতি আমাদের প্রধান সমস্যা। ভেবে দেখুন, দুর্নীতির মূলে আছে দারিদ্র-অশিক্ষা-অসচেতনতা আর আমাদের দেশে দারিদ্র-অশিক্ষার একটি বড় কারণ হলো জনসংখ্যার বিষ্ফোরন এবং জনসংখ্যা যে আর্শিবাদ না হয়ে বিরাট সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে, তার মূলে আছে এই কমবখ্ত ভাত। কোন কোন বিজ্ঞ ব্যক্তি মনে করেন যে, জাপান উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তার বিশাল জনসংখ্যাকে অভিশাপ থেকে আশির্বাদে রূপান্তরিত করেছে। সত্যি সত্যি জাপানের দৃষ্টান্তটি একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম আর ব্যতিক্রম কখনও সমাধান হতে পারে না। কাজেই রোগ-ব্যাধিমুক্ত শরীর-স্বাস্থ্য এবং সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সকলেরই উচিত হবে এখন থেকে ভাত খাওয়া সর্বোতভাবে বর্জন করা এবং আটার রুটি খাওয়া শুরু করা। আমি জানি কাজটি খুবই কঠিন এবং রাতারাতি করা সম্ভব নয় কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আরেকটি সমস্যা হলো, আমাদের নারী সমাজ রুটি পাকানোর চাইতে ভাত রান্না করতে বেশী আগ্রহী। কেননা ভাত রান্না করা খুবই সহজ কিন্তু রুটি বানানো খুবই কষ্টকর কাজ। তবে পাশাপাশি এটাও চিন্তা করে দেখতে হবে যে, ভাত খাওয়ার জন্য নানা রকমের মজাদার তরকারী রান্না করতে হয় কিন্তু রুটি খাওয়ার জন্য তার কোন দরকার নেই। রুটি খাওয়ার জন্য স্রেফ আলু ভাজি অথবা ডাল হলেই যথেষ্ট। সেক্ষেত্রে যে পয়সা দিয়ে আমরা তরকারী ক্রয় করি, তা দিয়ে আমরা দেশী-বিদেশী মৌসুমী ফল-মূল খেতে পারি। বিষয়টি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও হবে অধিক উপকারী।

তরকারীর যে আকাশ ছোয়া দাম, তিন কেজি করলা না খেয়ে বরং এক কেজি আপেল খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কেননা একে তো শাক-সবজিতে তেমন কোন ভিটামিন থাকে না, তারপরেও যা থাকে সেগুলো আবার রান্নার সময় আগুনের তাপে নষ্ট হয়ে যায়। রুটি বানানোর ঝামেলা থেকে আমাদের নারী সমাজকে রক্ষা করার জন্য দেশের হোটেল-রেস্তোরা-খাবার দোকান মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে বাতাসের মতো পাতলা আর ছয় মাসের পোড়া তেলে ভাজা পরোটা বানানোর অভ্যাস ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মতো মেগা সাইজের রুটি বানানোর তরিকা চালু করতে হবে যাতে এক রুটিতেই এক পরিবারের সকলের পেট ভরে যায়। আবার ইউরোপ-আমেরিকার মতো পাউরুটি তৈরীর মেশিন ঘরে ঘরে সহজলভ্য করা যেতে পারে। কেহ কেহ চালের চাইতে আটার দাম বেশী ইত্যাদি অজুহাত দেখাতে পারেন, কিন্তু বিস্তর অসুখ-বিসুখ আর অকাল বার্ধক্যের কথাও পাশাপাশি তাদের চিন্তা করা উচিত। আটা রুটির শতভাগ ফজিলত পেতে চাইলে আমাদেরকে আবার খোলা আটা খাওয়া শুরু করতে হবে ; কেননা যে-সব কোম্পানী প্যাকেটে করে আটা মার্কেটে ছাড়ে তারা আটাকে সাদা করার নামে আটার আসল জিনিসটাই ছেঁকে ফেলে দেয়। সরকারের নিকট আমাদের দাবী থাকবে, গম চাষকে সর্বাত্মকভাবে পৃষ্টপোষকতা প্রদান করা হউক এবং ধান চাষকে নিরুৎসাহিত করা হউক। প্রয়োজনে জেনেটিক্যালি মোডিফাইড গমের চাষ করা হউক। কেননা ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে জিএম ফুড স্বীকৃতি পেয়েছে ; আমাদের অযথা দ্বিধা-দন্দ্ব করে সাতপাঁচ ভেবে বসে থাকলে চলবে না। সর্বোপরি মহানবী (দঃ) ও এই জিএম ফুডের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। কেননা এক বাণীতে তিনি বলেছিলেন যে, “আখেরী জামানায় খাদ্য-শস্যে খুবই বরকত হবে”। তার মানে হলো মেগা সাইজের চাল-গম-পেয়াজ-রসুন-ফলমুল-তরিতরকারি ইত্যাদির প্রচলন হবে এবং দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে (জনসংখ্যার ভারে নুহ্য) মানবজাতির পক্ষে সেগুলো খাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না। লেখাটি ডাঃ বশীর মাহমুদ ইলিয়াস নামরে একজন হোমিও কনসালটেন্টের কাছ থেকে ধার করা!!

লেখাটিতে কিছু গাজাখুরি থাকলেও কথা কিন্তু একেবারে খারাপ না! ভাত খাওয়ায় বৈজ্ঞানিকভাবে কোন ক্ষতিকর দিক না থাকলেও অতিরিক্ত ভাত আসলেই ক্ষতিকর! তাই চলুন সবাই ভাত কম খাই, জনসংখ্যার চাপ কমাই!