সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ

অধ্যাপক ডা. কাজী তরিকুল ইসলাম
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সোয়াইন ফ্লু যা বর্তমানে এইচ১এন১ ভাইরাস নামে পরিচিতÑ বাংলাদেশেও এতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ ভাইরাস হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায় এবং বাতাসে বা মাটিতে ৭-১৪ দিন পর্যন্ত জীবিত অবস্থায় থাকতে পারে। এ জীবাণু থেকে বাঁচার সতর্কতা খুব সাধারণ, তা হচ্ছেÑ
সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত দেশ থেকে কেউ ভ্রমণ করে দেশে এলে তার দিকে পরিবারের সবার বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।
পাবলিক প্লেস যেমন স্কুল, মার্কেট, খেলার মাঠ, বাজারে যথাসম্ভব না যাওয়া। এ জায়গায় যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
হাত যেন জীবাণুমুক্ত থাকে সেজন্য ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
পাবলিক প্লেসে কিংবা যে কোনও জায়গায় হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় রুমাল, কাপড়, টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহƒত এ জিনিসগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে বা আলাদাভাবে ধুতে হবে। মনে রাখবেন, এ ভাইরাস মূলত হাঁচির মাধ্যমে ছড়ায়।
ঐ১ঘ১ ভাইরাস কি মৃত্যু ঘটায়? এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ সহজে মরে না। এ ভাইরাসের নিজের মারণ ক্ষমতাও নেই। তবে এরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাশ আক্রমণের সুযোগ করে দেয়। যারা আগে থেকেই ইমিউনোকমপ্রোমাইজড অর্থাৎ যারা শিশু, বৃদ্ধ, যারা এইচআইভি, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিসে ভুগছে কিংবা করটিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাচ্ছে তাদেরই মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
প্রতিরোধ : সম্প্রতি ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হয়েছে। অভিলটামেভির ট্যাবলেট প্রতিদিন ১টি করে ৭-১৪ দিন খাওয়া যেতে পারে। তারাই খাবেন যারা প্যানডেমিক দেশগুলো ভ্রমণ করবেন বা করেছেন কিংবা এ ধরনের রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন।
বাংলাদেশে এ রোগ শনাক্তকরণের ব্যবস্থা রয়েছে।