বর্তমানে আমরা অনেকেই পিত্তথলির পাথর সমস্যা নিয়ে ভুগছি। কিছুদিন আগেও এটা সাধারণ একটা বিষয় ছিল, কিন্তু এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাধারণত মধ্য বয়সীরাই এতে বেশি ভুগে থাকেন। মধ্য বয়সী বিশেষ করে মহিলাদের বয়স বাড়লে, যে কোনো বয়সীদেরও হতে পারে। অধিক বাচ্চার মায়ের হতে পারে মোটা অর্থাৎ স্থূলকার শরীর হলে পাকস্থলীর অপারেশন হলে ইস্ট্রোজেন হরমোন বেশিমাত্রায় নিলে সিস্টিক ফাইব্রোসিস।
কেন হয় পিত্তথলিতে পাথর : বয়স বাড়ার কারণে। কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার বেশি খেলে। প্রোজেস্টেরল হরমোন বেশি দিন খেলে। আঁশজাতীয় খাবার না খেলে। অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খেলে। মেশিনে অতিরিক্ত মসৃণকৃত শর্করাজাতীয় খাদ্য খেলে ও উচ্চমাত্রার ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে।
লক্ষণঃ পেটে হঠাৎ মারাত্মক ব্যথা হতে পারে। সাধারণ পেট ব্যথা ১ ঘণ্টা স্থায়ী হয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ৬ ঘণ্টার বেশি পেটে ব্যথা হলে ধরে নিতে হবে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে। চর্বিজাতীয় খাবার খেলে সমস্যা দেখা দেবে। পেটে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষণ অপ্রকাশিত থাকে। শতকরা ৯৫ ভাগের ক্ষেত্রেই লক্ষণ দেখা যায় না বা বোঝা যায় না।
চিকিৎসাঃ পেটে প্রচন্ড ব্যথা হলে বিশেষজ্ঞ সার্জনের চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। পিত্তথলির পাথর নির্ণয় করে তা অপারেশন না ওষুধ দিতে হবে তা চিকিৎসকই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে লেপরোসকোপিক সার্জারি চিকিৎসাই বেশি কার্যকর।