আসন্ন ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চল্লিশটি বিভাগে মোট প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। চবির ৮টি ইউনিটের মাধ্যমে ছয়টি অনুষদের অধীনে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি করানো হবে।
চলতি ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এবার ৮টি ইউনিটের অধীনে ৪০টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে মোট সাড়ে তিনহাজার ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ আসন দুই হাজার ৭শত ৫৪টি এবং উপজাতি, অ-উপজাতি, ওয়ার্ড, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, প্রতিবদ্ধী, খেলোয়াড়, বিদেশী এবং শিল্পী কোটার জন্য রয়েছে ৬৫১টি সংরক্ষিত আসন।
চবির ইউনিটভিত্তিক বিভিন্ন বিভাগের আসনের সংখ্যাঃ ‘ক’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদে) সর্বমোট ৫৯৯টি আসনের মধ্যে পদার্থবিদ্যায় ১১৯টি, রসায়ন বিভাগে ১১৯টি, গণিত বিভাগে ১১৯টি, পরিসংখ্যান বিভাগে ১১৯টি, কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং ৬৩টি এবং ফলিত পদার্থবিদ্যা, ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
‘খ’ ইউনিটের (কলা অনুষদ) ১০টি বিভাগের ৯২১টি আসনের মধ্যে বাংলা, ইংরেজী, ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের প্রতিটিতে ১১৯ জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১৩০ জন, চারুকলা বিভাগে ৪২জন, আরবি ও ফার্সী বিভাগে ১০১ জন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ৯৫ জন, প্রাচ্যভাষায় ৬২ জন, এবং নাট্যকলা বিভাগে ১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।
‘গ’ ইউনিটের (ব্যবসায় প্রশাসন অনুুষদ) চারটি বিভাগের ৪৭৬টি আসনের মধ্যে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং এবং মার্কেটিং স্টাডিজ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের প্রত্যেকটিতে ১১৯ জন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারবে।
‘ঘ’ ইউনিটের (সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ) ৭১০টি আসনের মধ্যে এ ইউনিটের ৭টি বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে। এর মধ্যে অর্থনীতি, রাজনীতি বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, লোক প্রশাসন এ চারটি বিভাগে ১৩৬ জন করে এবং অন্যবিভাগের মধ্যে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ৫৩ জন, আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগে ৫০ জন এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৬৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
‘ঙ’ ইউনিটভুক্ত একমাত্র বিভাগ আইন বিভাগে ১১৯ জন শিক্ষার্থী।
‘চ’ ইউনিটের অধীনে বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনষ্টিটিউটের দুটি বিভাগ ফরেষ্ট্রি এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে যথাক্রমে ৪৪ এবং ২৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।
‘ছ’ ইউনিটের একমাত্র মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ বিভাগে ৫৩ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারবে।
‘জ’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ৮টি বিভাগে ৪০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। এর মধ্যে উদ্ভিদ বিদ্যা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রতিটিতে ৯৭ জন শিক্ষার্থী, মাইক্রোবায়োলজি ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে ৩৫ জন করে শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে ২৮ জন এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সিট বরাদ্দ কমিটি কর্তৃক বিভিন্ন অনুষদের বিভাগগুলোর জন্য উপরোক্ত সংখ্যক আসন নির্ধারণ করা হলেও বিভাগের অবকাঠামোগত সুবিধা পর্যাপ্ত পরিমানে থাকলে নির্ধারিত আসনের বাইরে বিভাগগুলো ১০% বেশী শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে বলে চবি একাডেমিক অফিসসূত্রে জানা গেছে।
আবাসনঃ প্রতিষ্ঠালগ্নে চবি’কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচালনার কথা থাকলেও অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে সব শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেনি চবি কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত নির্মিত চবির ৬টি ছাত্র হল, ৩টি ছাত্রী হল ও ফরেষ্ট্রি হোস্টেলে সবমিলিয়ে মোট চার হাজার দুই শত উনত্রিশ জন ছাত্র-ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। হল এবং হোস্টেলের আবাসনের মধ্যে আলাওল হলে ২৬০টি, এ. এফ. রহমান হলে ২৫৮টি, শাহজালাল হলে ৪৭৫টি, শাহ আমানত হলে ৬৩২টি, সোহরাওয়ার্দী হলে ৩৭৫টি শহীদ আবদুর রব হলে ৫০৯টি, শামসুননাহার হলে ৪৬৯টি, প্রীতিলতা হলে ৫৩১টি, খালেদা জিয়া হলে ৫০৮টি এবং ফরেষ্ট্রি হোস্টেলে ২১২টি সিট রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত আবাসিক হল ছাড়াও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি মালিকানাধীন কটেজে সহস্রাধিক ছাত্র অবস্থান করে থাকে।