মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলে (ম্যাটস) ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে তিন বছর মেয়াদি মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং কোর্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য আগ্রহী ও যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে।

সরকারি ম্যাটস যেসব জেলায় অবস্থিতঃ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশে সাতটি জেলায় ম্যাটস অবস্থিত। জেলাগুলো হচ্ছে বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা এবং ফরিদপুর।

আসনসংখ্যাঃ

সাতটি ম্যাটসে সর্বশেষ ৬৫০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে।

আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতাঃ

ভর্তি হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দেশের যেকোনো শিক্ষাবোর্ড থেকে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ এসএসসি বিজ্ঞান/সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ন্যূনতম ৩·০০ অথবা দাখিল (বিজ্ঞান) পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩·০০ থাকতে হবে। তবে ২০০৭ সালের আগে যারা পাস করেছেন তাঁরা আবেদনের যোগ্য হবেন না।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

আবেদনপত্রের সঙ্গে নিচে উল্লিখিত সনদপত্র ও কাগজপত্রাদি প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবেঃ (ক) এসএসসি/সমমান পরীক্ষার পাসের প্রমাণপত্র হিসেবে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত প্রশংসাপত্র। (খ) এসএসসি/সমমান পরীক্ষার সাময়িক সনদপত্র (যদি থাকে) এবং নম্বরপত্র। (গ) স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখপূর্বক নাগরিকত্বের সনদপত্র। (ঘ) সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি (ঙ) উপজাতীয় প্রার্থীদের বেলায় জেলা প্রশাসক এবং গোত্রপ্রধান স্বাক্ষরিত জেলা গোত্র ও চারিত্রিক সনদপত্র। (চ) মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র।

আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমাঃ

প্রার্থী যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখান থেকে ৩৭০ টাকার বিনিময়ে ২০ জুলাই ২০০৯ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবে। গৃহীত আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে (যেখান থেকে তা সংগৃহীত হয়েছে) ৪ আগস্ট ২০০৯ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষাঃ ১৪ আগস্ট ২০০৯, শুক্রবার সকাল ১০·০০ ঘটিকায়।

জরুরি তথ্যঃ

আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রাপ্ত এসআই ফরম কোনোক্রমেই ভাঁজ করা যাবে না। অসম্পূর্ণ ও ভুল তথ্যসংবলিত আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। ভর্তির পর ছাত্রছাত্রীর দাখিলকৃত সনদপত্র/কাগজপত্রাদি ভুল/মিথ্যা প্রকাশিত হলে ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় (এমসিকিউ পদ্ধতি) অংশ নিতে হবে। তবে কোনো মৌখিক পরীক্ষা না হলেও মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নির্বাচিত হতে হবে। ভর্তি-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিজ নিজ ম্যাটসের অধ্যক্ষের দপ্তর থেকে জানা যাবে।