কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করবেন যেভাবে

যখন আপনি কোনো চাকরি শুরু করেন আর পকেটে টাকা আসতে শুরু করে তখন ভাবতে ইচ্ছা করে এখন educationআর লেখাপড়া করে কি হবে। এই বয়সে কলেজ, ভার্সিটি আমাকে মানায় না। কিন্তু এই কয় টাকার সুখ অল্পদিনের। এই সুখকে দীর্ঘায়িত করতে লেখাপড়ার প্রয়োজন অনেক। অন্তত ক্যারিয়ারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দরকারি লেখাপড়াটা শেষ করা উচিত। কিন্তু অনেকে এই ব্যাপারটা বুঝলেও জীবন-সংসারের চাপের কারণে লেখাপড়াটা চাকরির সাথে সাথে চালিয়ে যেতে চান না। এ ব্যাপারে আমার নোটস অবলম্বনে কারেন্ট ইস্যু ক্যারিয়ার বিভাগের বিশেষ আয়োজন।

সিলেবাসকে ভাগ করুন

আপনার সিলেবাসটা পাওয়ার পরপরই একে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহ বা দিনে কতটুকু আপনি কভার করবেন সেটারও একটা সিডিউল তৈরি করুন। ঠিক করুন প্রতিদিন এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো টপিক আপনি শেষ করবেন। আর আপনার এই প?্যান পরিকল্পনার কথা আশেপাশের মানুষদেরকে জানিয়ে রাখুন, এতে আপনারই লাভ হবে। ক্যালেন্ডারে হিসাব রাখুন প্রতিদিন কতটুকু পড়লেন। এই যে আপনি ছোট ছোট অংশ শেষ করতে থাকলেন এতে কিন্তু আপনি সাফল্যের একটা স্বাদ পাবেন। আবার ‘পরীক্ষার পূর্বরাত্রির’ টেনশন থেকেও মুক্তি পাবেন।

নোট কার্ড, পয়েন্টস সঙ্গে রাখুন

আপনার সঙ্গে সবসময় চিরকুট, বইয়ের পৃষ্ঠার ফটোকপি বা সহজে বহনযোগ্য কোনো কাগজে লেখা ম্যাটারিয়াল রাখুন। যখন অফিসে চুপচাপ বসে আছেন, কাজ নেই তখন একটু সেগুলো দেখলেন। কোথাও অপেক্ষা করতে হবে, চট করে কিছু বিষয় রিভিউ করে নিলেন। তবে এই ‘চোথাপত্র’ পরীক্ষার হলে নেবেন না কিন্তু!

মাল্টিটাস্কিং করুন

একই সাথে দুই কাজ করুন। কথাটা যত কঠিন মনে হয় আসলে ততটা নয়। একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন আপনি প্রতিদিন ভ্রমণ করেন। তখন নিজের কাছে রাখা চোথাপত্রগুলো একটু রিভিউ করলেন। বা রান্না করছেন, কোনো বইয়ের অডিও সিডি চালিয়ে নিলেন। বাজারে এরকম সিডি না পেলে নিজেই রিডিং পড়ে রেকর্ড করে পরে শুনে নিতে পারেন। অনেকে আবার বাথরুমেও লেখাপড়া করেন, তবে এটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছে! আপনি নিজেই অবাক হবেন, মাল্টিটাস্কিং করার জন্য আপনি কতরকম সুযোগ পাচ্ছেন।

প্রতিদিন অন্তত একটি কুরবানি করুন

এর মানে গরু-ছাগল কুরবানি নয়, স্যাক্রিফাইস। যেমন- একদিন টিভি একটু কম দেখলেন। এটা একটা ছোট স্যাক্রিফাইস। এখন এতটুকু করতে না পারলে সামনে অনেক বড় স্যাক্রিফাইস করতে হতে পারে। সুতরাং আগে থেকেই সাবধান হোন।

প্রস্তুতি শেষ হয়নি? তাতে কি!

এতকিছুর পরও হয়তো দেখবেন পরীক্ষার এক সপ্তাহ বাকি অথচ আপনার প্রস্তুতি পূর্ণ হয়নি। এতে ঘাবড়াবেন না। আপনার বেশিরভাগ সিলেবাসই এর মধ্যে কভার হয়ে যাবার কথা, তাতে সাহস পাবেন। আর বাকিটুকু মনোযোগ বাড়িয়ে কভার করার চেষ্টা করুন। পরীক্ষার আগের দিন অফিস থেকে ছুটি নিন। আপনার প্রস্তুতি ভাল বা খারাপ যা-ই হোক না কেন এটার প্রয়োজন আছে। স্ট্রেস কমাতে এটি খুবই সহায়ক। তাছাড়া এতে মাথা ক্লিয়ার করার সুযোগ পাবেন, কিছু টপিক বেশি রিভাইস দেওয়ার সুযোগও পাবেন।

পরীক্ষা দিন কন্ফিডেন্সের সাথে

পরীক্ষায় এমন হতে পারে সবকিছুই আপনি পারেন, দুয়েকটা জিনিস বাদে। যা পারেন তা আগে দিন, ভালোভাবে দিন। বাকিগুলো যতটুকু জানেন দিয়ে আসুন। দেখবেন আপনি অন্যদের চেয়ে ভাল করেছেন। কিছু কিছু দিন খারাপ যেতে পারে, কিন্তু নিরাশ হবার কিছু নেই। মোটের ওপর প্রস্তুতি আপনার ভাল, তাই দুশ্চিন্তা করবেন না। যদি লেখাপড়ায় মনোযোগ না আসে তাহলে সকালে ওঠার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস রাখুন, আপনাকে দিয়েই হবে।