উচ্চ শিক্ষায় অবস্থান নিশ্চিত করতে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে

নি জা মু ল হ ক



এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হলো। জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই। কোথায় পড়বে? ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীর নগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ঃ বা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বপ্ন থাকলে বা সিদ্ধান্ত নিলেই চলবে না। এজন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। তীব্র প্রতিযোগীর মাধ্যমে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।

এবার বছর দশটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৩৭টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ২০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে পাসের হার ৭০ শতাংশ হলেও প্রায় ৫ লাখ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ন হবে। এর মধ্যে সব উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীই চাইবে ভাল কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে। আর এ কারণেই হবে তীব্র প্রতিযোগিতা। দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় পরীক্ষায় ভাল ফল থাকলেও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। তাই শিক্ষাঙ্গনে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

দেশে ৩০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাতে গোনা কয়েকটি ভাল কলেজে ভর্তির চাহিদা বেশি। এর বাইরে ৫১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে এগুলোতে ভর্তি হবার ক্ষেত্রে সব কিছু জেনে শুনে ভর্তি হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের আসন সংখ্যা ১,৮৮,০০০। দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫১টি। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বমোট ১,৮২,৬৪১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। আর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছে ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৬৯ জন।

এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করা অধিকাংশ শিক্ষার্থীই চায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিজের জন্য একটি আসন নিশ্চিত করতে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা কম থাকার কারণে প্রায়ই শিক্ষার্থীই ছিটকে পরে। নিজের আসনকে নিশ্চিত করতে শুরু হয় ভর্তি যুদ্ধ। তুমুল এই ভর্তি যুদ্ধে নিজেকে প্রস্তুত করতে সময় পাওয়া যায় মাত্র কয়েক মাস। আর এই স্বল্প সময়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা ও নিয়মিত পড়াশোনা। কঠোর অধ্যাবসায় আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসই হতে পারে একমাত্র হাতিয়ার। নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি নানা কৌশলও রপ্ত করতে হবে। তাই সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা আর সময় ক্ষেপণ নয় কঠোর অধ্যাবসায়, সঠিক দিকনির্দেশনা আর নানা কৌশল নিয়ে এখনই ঝাপিয়ে পড়তে হবে উচ্চশিক্ষায় নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে।